‘বাংলার প্রশাসন পড়শি দেশের সেনার মতো কাজ করছে’

শেখাওয়াত বলেন, "ওঁর কাছে দিল্লি এবং দেশের অন্য জায়গা থেকে আসা ভারতীয় বহিরাগত। অথচ পড়শি দেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা নিজের। রাজনৈতিক স্বার্থে মমতাদিদি ভয়ঙ্কর সেসব অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গে জায়গা দিয়েছেন।"

'বাংলার প্রশাসন পড়শি দেশের সেনার মতো কাজ করছে'
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 06, 2020 | 2:55 PM

কলকাতা: রাজনৈতিক চমক দিতে গিয়ে ‘মমতাদিদি’ আপন আর বহিরাগতর সংজ্ঞাটাই ভুলে গিয়েছেন। তাঁর কাছে দেশের অন্য রাজ্য থেকে এলে বহিরাগত। অথচ পড়শি দেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা নিজের। কলকাতা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) এভাবেই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (Gajendra Singh Shekhawat)।

রবিবার এক টুইট বার্তায় শেখাওয়াত বলেন, “শনিবার আমি পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চায়ে পে চর্চা’য় গিয়েছিলাম। খোলামেলা সেই আড্ডায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি গভীর ক্ষোভ নজরে এল। বাংলার প্রশাসন তো প্রতিবেশী দেশের সেনার মতো কাজ করছে। মমতাদিদি রাজনৈতিক চমক ধরে রাখতে আপন ও বহিরাগতের সংজ্ঞাই বদলে ফেলেছেন। ওঁর কাছে দিল্লি এবং দেশের অন্য জায়গা থেকে আসা ভারতীয় বহিরাগত। অথচ পড়শি দেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা নিজের। রাজনৈতিক স্বার্থে মমতাদিদি ভয়ঙ্কর সেসব অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গে জায়গা দিয়েছেন।”

একুশের ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক চমকদার জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে এনে বাংলায় প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে প্রথম থেকেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বাংলায় বহিরাগত এনে এখানকার সংস্কৃতিকেই বদলে দিতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপির বক্তব্য, তারা সর্বভারতীয় দল। এক প্রদেশের নেতা সেক্ষেত্রে অন্য প্রদেশে এসে কর্মসূচি পালন করবেন, এটাই স্বাভাবিক।

শনিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এক দফা তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৮০ শতাংশই এ রাজ্যে এখনও চালু হয়নি। সাধারণ মানুষ কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পান, তা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই চান না। ভোট ব্যাঙ্ক ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না।” একইসঙ্গে শেখাওয়াত দাবি করেন, মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারে শীর্ষে রয়েছে বাংলা। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তৃণমূল এ রাজ্যে উন্নয়নের গতি শ্লথ করে দিয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।