পার্থর সব থেকে অনুগত ছিলাম, বদলি হতে হল আমাকেই: বৈশাখী
বদলির ফরমান পেয়েই রণংদেহি মেজাজে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)।
কলকাতা: বদলির ফরমান পেয়েই রণংদেহি মেজাজে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। নাম করে সরাসরি তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে।
ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করে বৈশাখী লেখেন, “গতকাল আমি জনাব ফিরহাদ হাকিমের অসভ্য আক্রমণের বিরোধিতা করেছিলাম। আর আজই শিক্ষা দফতর থেকে আমি বদলির নোটিস পেলাম। শোভন (চট্যোপাধ্যায়) আমাকে সব সময় বলত ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লম্বা চওড়া প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা করো না। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ওর ভরসা ছিল। তবে এখন দেখা গেল আমরা দুজনেই ভুল প্রমাণিত হলাম। রাম মোহন কলেজে আমার বদলির আদেশে বোঝা গেল, আমি যাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে এসেছি, সেই তিনিও সংকীর্ণ রাজনীতির সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন না। অতীতে আমার অনেক সহকর্মী এর শিকার হয়েছেন, আজ আমিও হলাম। আমি, যে কিনা ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সব থেকে অনুগত ছিলাম, শেষ পর্যন্ত আমাকেই বদলি করে দেওয়া হল।”
আরও পড়ুন : এই ৯ মুখ একুশের নির্বাচনের হিসেব বদলে দিতে পারে
এই পোস্টেই পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও (Firhad Hakim) বিঁধেছেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী। তিনি লেখেন, “আমি আগেও নানান রকম ভাবে অপমানিত হয়েছি। পদত্যাগ করতে তৈরিই ছিলাম। এভাবে বদলির নোটিস পাঠিয়ে অপমান করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।”
আরও পড়ুন : পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুনীর্তিগ্রস্ত, তারাই বেশি চিৎকার করে, রাজীবকে তোপ অরূপের
এখানেই শেষ নয়। দীর্ঘ পোস্টের শেষে বৈশাখী লেখেন, “আমি চাইলেই আইনি লড়াই লড়তে পারতাম। আমি ইতিমধ্যেই ৪টি মামলায় জিতেছি। কিন্তু যেখানে আমি আমার মন্ত্রীকেই বিশ্বাস করতে পারছি না, সে রকম শ্বাসরোধী পরিবেশে কাজ করতে পারব না।”
আরও পড়ুন : অসুস্থ শিশির অধিকারী, দুর্বল হয়ে পড়েছেন মানসিকভাবেও
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন। ‘যুদ্ধের শুরু’। পার্থর উদ্দেশে বৈশাখী লেখেন, “ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানেন, বৈশাখী ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু হারবে না।”