Panchayat Election 2023: ‘বিরোধী প্রতীকে জয়ীরা তৃণমূলে আসবেন’, পঞ্চায়েতে ‘বাইরন সংক্রমণ’ দেখছেন কুণাল

Panchayat Election 2023: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। একটি আসনেও জেতেনি দুই দল। তাই বাইরন বিশ্বাসের জয়ের পর নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছিলেন দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা।

Panchayat Election 2023: 'বিরোধী প্রতীকে জয়ীরা তৃণমূলে আসবেন', পঞ্চায়েতে 'বাইরন সংক্রমণ' দেখছেন কুণাল
বিরোধীদের আক্রমণ কুণালের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2023 | 6:38 PM

কলকাতা: কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরার পর সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) সাফ দাবি ছিল, তিনি কংগ্রেসের (Congress) ভোটে জেতেননি। জিতেছিলেন নিজের নাম এবং ভাবমূর্তিতে। এবার যেন এই বাইরনকেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রোল মডেল করতে চাইছে তৃণমূল। সেই সুরই কুণালের গলায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে দু-চারজন অন্য প্রতীকে জেতেন তাঁরা তো এটা অনুভব করবেন। বাইরনের অনুভূতি তো সংক্রমিত হবে। আর মানুষই কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবে? তৃণমূলে দিলে সরাসরি তৃণমূল জিতবে। অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পরে জয়ীরা তৃণমূলে আসবে। ফলে অন্য চিহ্নে দিয়ে কী লাভ?” 

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। একটি আসনেও জেতেনি দুই দল। পাশাপাশি ভাঙড় জিতে সংযুক্ত মোর্চার মুখ রক্ষা করে আইএসএফ। এদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর নতুন করে অক্সিজেন পায় বাম-কংগ্রেস। তৃণমূলকে হারিয়ে ভোটে জেতেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। পঞ্চায়েত ভোটেও বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। 

কিন্তু, তার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘুরে যায় খেলা। যে তৃণমূলকে হারিয়ে সাগরদিঘি নিজের দখলে রেখেছিলেন সেই তৃণমূলেই চলে যান বাইরন বিশ্বাসকে। কুণালের মতে পঞ্চায়েতে ২-৪ জন অন্যদলের প্রার্থী জিতলেও শীঘ্রই তাঁরা বাইরনের মতোই তৃণমূলে ভিড়বেন। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল আরও বলেন, “আমরা চাইছি পুরোদস্তুর প্রতিযোগিতা হোক। আর এরা যে এত মারামারি করছে এরা তো অর্ধেক জায়গায় প্রার্থী খুঁজে পাবে না। আর যদি কোনও প্রার্থী জেতেন তাহলে তিনি এই সিস্টেমটার মধ্যে আরও ভাল করে কাজ করার জন্য তখন তিনি বুঝতে পারবেন কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে, আর মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে সব স্কিমগুলো চালু রেখেছেন। ফলে এরা যদি পরিশ্রম করে, এত লম্ফঝম্ফ করে কোনও প্রার্থীকে জেতায়ও তিনি মনের টানে তারপর তৃণমূলে যোগ দেবেন।” কুণালের সাফ দাবি, এতে দল ভাঙানোর কোনও বিষয় নেই। ‘স্বেচ্ছাতেই’ তো আসবেন ওঁরা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “কোনও মডেলই কাজ করবে না। তৃণমূলকে এখান বিতাড়িত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সংকল্পবদ্ধ। একতরফা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাবেন, এইসব গল্প যেন ভুলে যায় তৃণমূল।” কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, “ঠিক তো বলছে কুণাল। এটাই কো তৃণমূল। পয়সা আছে চুরি করার। কিনে নেবে ঠিক। এইসব চোরেদের কথার জবাব দিতে আমার বিবেকে বাধে।”