TMC: ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কের মাঝেই তৃণমূলে দায়িত্ব বাড়ল মহুয়ার, কী বললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ?

TMC: বিতর্কের আবহেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হল মহুয়া মৈত্রকে। আগে এখানে সাংগঠনিক জেলা সভপতি ছিলেন কল্লোল খাঁ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পরিবর্তন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

TMC: 'ক্যাশ ফর কোয়ারি' বিতর্কের মাঝেই তৃণমূলে দায়িত্ব বাড়ল মহুয়ার, কী বললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ?
মহুয়া মৈত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2023 | 3:50 PM

কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ঢালাও পরিবর্তন। একাধিক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানের পদে বদল আনা হয়েছে। তার মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় বড় পরিবর্তন। বিতর্কের আবহেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হল মহুয়া মৈত্রকে। আগে এখানে সাংগঠনিক জেলা সভপতি ছিলেন কল্লোল খাঁ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পরিবর্তন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্বে বসিয়ে কি পাশে থাকার বার্তা দিল তৃণমূল? জোর গুঞ্জন জেলা রাজনীতির অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সাংসদ লিখেছেন, “কৃষ্ণনগরের (নদিয়া উত্তর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাই। কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষের জন্য আমি সবসময় দলের হয়ে কাজ করে যাব।”

উল্লেখ্য, ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্ক নিয়ে সম্প্রতি তুমুল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সংসদীয় এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন। তবে একই সঙ্গে অভিষেক এও জানিয়েছেন, মহুয়া তাঁর নিজের লড়াই নিজে লড়ে নেবেন। এসবের মধ্যেই এবার তৃণমূলের জেলাস্তরে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল মহুয়াকে।

দলের জেলা সংগঠনে মহুয়ার বাড়তি দায়িত্বের পর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পরিষ্কার বলেছেন, মহুয়া মৈত্র নিজের লড়াই নিজে লড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট দক্ষ। এথিক্স কমিটি ও প্রিভিলেজ কমিটিতে একাধিক কেস পেন্ডিং পড়ে আছে। অথচ, তৎপরতার সঙ্গে মহুয়া মৈত্রর কেস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাঁকে যথাযথ বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দল কখনও বলেনি মহুয়া মৈত্রর পাশে নেই।”