Panchayat Election 2023: ‘পরিকল্পিতভাবে বিরোধীরা রক্তপাত ঘটিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করল’, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যুক্তি কুণালের
Kunal Ghosh: কুণালের বক্তব্য়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৃণমূল ভয় পায় না। বললেন, 'এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ এই বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আট দফায় ভোট করানো হয়েছিল। অফিসার বদলি করা হয়েছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপকভাবে জিতেছে।'
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (West Bengal Panchayat Election 2023) সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এরপরই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, এটি সম্ভবত সারা দেশের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’ তৃণমূল মুখপাত্র বললেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিরোধীরা দু’একটি ঘটনা ঘটিয়ে, নাটক করে, রক্তপাত ঘটিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করল।‘ একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৃণমূল ভয় পায় না। বললেন, ‘এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ এই বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আট দফায় ভোট করানো হয়েছিল। অফিসার বদলি করা হয়েছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপকভাবে জিতেছে। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকল, নাকি সেনা বাহিনী এল… পুলিশ দিয়ে ভোট হল নাকি হোমগার্ড দিয়ে ভোট হল… এসব কোনও ব্যাপার নেই। আমরাই জিতব, বিরোধীদের সঙ্গে মানুষ নেই।’
যদিও কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘সাধারণভাবে, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রীয় কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়। পঞ্চায়েত ভোট ও পুরসভা ভোট রাজ্যের কমিশন ও রাজ্যের বাহিনী দিয়ে হয়।’ তৃণমূল মুখপাত্রর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যখন যেখানে ইচ্ছা আসবে, যাবে, খাবে, ঘুমোবে। কিন্তু মানুষ ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেসে।’
অর্থাৎ, তৃণমূল মুখপাত্র স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশে বিশেষ উদ্বিগ্ন নয় শাসক শিবির। অতীতে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরও তৃণমূলই জিতেছে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা দেখেছি বিজেপি ও তৃণমূল ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। যা যা লাগে, সে সব দিয়ে। মানুষ কিন্তু গ্রামে সজাগ আছে।’
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার বলছেন, বল্গাহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তা ঐতিহাসিক। এই রায়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রাণহানি ও অশান্তি থেকে মুক্তি পাবে এবং গণতন্ত্র ফিরবে।’