West Bengal Panchayat Polls: হাতে বোমার বস্তা, হেলেদুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভাঙড়ে, দেখুন ভিডিয়ো

West Bengal Panchayat Polls: এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। অবশেষে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। বৃহস্পতিবার বিকালে এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

West Bengal Panchayat Polls: হাতে বোমার বস্তা, হেলেদুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভাঙড়ে, দেখুন ভিডিয়ো
টিভি-৯ বাংলার হাতে এক্সক্লুসিভ ভিডিয়ো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2023 | 9:17 PM

ভাঙড়: মনোনয়নের শেষ দিনেও থামল না অশান্তি। চোপড়া থেকে ভাঙড় (Tension in Bhangar), রাজ্যের নানা প্রান্তে ঝরল রক্ত। গেল প্রাণ। পুলিশের সামনেই সাংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দিকে ধেয়ে এল বোমা। চলল গুলি। এদিন সকাল থেকে এই ছবিই দেখা গেল ভাঙড়ে। এমনকী ক্যামেরার সামনেই হাতে প্লাস্টিকের প্যাকেটে বোমা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেল এক ব্যক্তিকে। অন্যদিকে এদিন দুপুরে ভাঙড়-২-এ বিডিও অফিস চত্বরে তুমুল বোমাবাজি শুরু হয়। চারপাশ ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। একদল দুষ্কৃতীদের লাঠি হাতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় এলাকায়। চলে ভাঙচুর। 

ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “আজ তো আমাদের প্রার্থীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলিও চালানো হয়েছে। আসলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে, মারধর করে, বোমা, গুলি পিস্তল দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে কয়েকশো রাউন্ডগুলি চলেছে।” এদিকে অশান্তির আবহে দলীয় কর্মীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নওশাদ। এদিনও ছুটেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়নের সময়সীমা। কিন্তু, ভাঙড়ে লাগাতার অশান্তির জেরে তাদের দলের বহু প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। এমনটাই দাবি আইএসএফের। নওশাদের আরও দাবি, “প্রথম দিন থেকেই মনোনয়ন দাখিল ঘিরে গোলমাল চলছে। প্রশাসনের কোনও সদর্থক ভূমিকাই নেই।”

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে এক দফায় হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১১ জুলাই ফলপ্রকাশ। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিকে এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। অবশেষে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। বৃহস্পতিবার বিকালে এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মাঠাতে নামাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যবস্থা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। পাশাপাশি দ্রুত রাজ্যের স্পর্শকাতর জেলাগুলিকে চিহ্নিত করারও নির্দেশ এসেছে।