Harassment Case: বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশের পরই ধর্ষণের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল ছাত্রনেতা

Harassment Case: ছাত্রনেতা, তাঁর বাবা ও মায়ের নামে এফআইআর করা হলেও কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।

Harassment Case: বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশের পরই ধর্ষণের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল ছাত্রনেতা
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 12:07 PM

কলকাতা: কাঁথিতে নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের (TMC) ছাত্রনেতা। এই মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ অভিযুক্ত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুধু ধর্ষণ নয়, ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রনেতা, তাঁর বাবা ও মায়ের নামে এফআইআর করা হলেও কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

ঠিক কী অভিযোগ?

প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে। পরে নাবালিকাকে দিঘার হোটেলে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার মা অভিযোগে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ওই ঘটনার পর থেকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বাড়িতেও লোক পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত

পুলিশি তদন্তের গতি দেখে মঙ্গলবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই পুলিশ অভিযুক্ত সম্পর্কে দুর্বলতা দেখাচ্ছে। অভিযুক্ত কোথায় আছে, পুলিশ সবটাই জানে। কিন্তু ইচ্ছে করে ধরছে না। পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব কোর্টের নজর এড়াচ্ছে না।’

এরপরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতে যে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।