TMC Tweet Battle: গৃহযুদ্ধ এবার টুইটারেও! ‘এক ব্যক্তি, এক পদে’র পাল্টা প্রচার ‘মমতাপন্থীদের’
TMC Twitter battle: শুরু থেকেই দলের শেষ কথা তিনিই। মমতাই দলের সর্বাধিনায়িকা। এতদিন তা আলাদা করে বলার দরকার হয়নি। তৃণমূলে যে মমতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত - তা তো আজকের নতুন নয়। তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে এই ধরনের কথাগুলি হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে প্রচার করতে হচ্ছে?
কলকাতা : তৃণমূলের (Trinamool Congress) মধ্যে দুই শিবিরের আড়াআড়ি বিভাজনের এখন আরও বেআব্রু। এক ব্যক্তি, এক পদ (One Person, One Post) নীতির সমর্থনে ফেসবুক, টুইটার সহ সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছি বিভিন্ন নেতাদের। ট্রেন্ডিং করানোর চেষ্টা দেখা গিয়েছে। এবার সেই এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির পাল্টা ক্যাম্পেন করতে দেখা গেল টুইটারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা ক্যাম্পেন চলছে ‘দলে শেষ কথা দিদি বলবে’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের একাংশ। বিরোধীরা বার বার বলছে, তৃণমূলের মুশলপর্ব চলছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, মমতা ও অভিষেকের মধ্যে ক্ষমতার শীর্ষে ভেসে থাকার এক লড়াই চলছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, শনিবার চার পুরনিগমের নির্বাচনের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে থাকতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর এরই মধ্যে আরও একটি পোস্ট টুইটারে ঘুরে বেরাচ্ছে। তাতে লেখা দলে শেষ কথা দিদি বলবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পোস্ট স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইটারে ‘ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতা দি’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে ছবিটি। ছবিতে লেখা, দলে শেষ কথা দিদি বলবে। সঙ্গে হ্যাশট্যাগও রয়েছে। তার সঙ্গে লেখা হয়েছে, “দিদিই একমাত্র ধ্রুব। তাঁর প্রতিশ্রুতিই হল তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা। আমরা দিদির সৈনিক এবং আমরা এটাই থাকব। দিদির আদেশ এবং দিদির কথাই আমাদের কথা সব। আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমরা এটাই মেনে চলব।” এর পাশাপাশি মিরাজ হোসেন নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীও এই একই ধরনের ছবি হ্যাশট্যাগ সহ টুইটারে শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, “দলের যে যত বড়ই নেতা হোক না কেন, যত বড়ই দাদা হোক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নিলে সবার অবস্থা কেমন হয় তা ২০২১ -এর নির্বাচনে দেখা হয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু থেকেই দলের শেষ কথা তিনিই। মমতাই দলের সর্বাধিনায়িকা। এতদিন তা আলাদা করে বলার দরকার হয়নি। তৃণমূলে যে মমতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত – তা তো আজকের নতুন নয়। তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে এই ধরনের কথাগুলি হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে প্রচার করতে হচ্ছে? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি যে জল্পনা শোনা যাচ্ছে ক্ষমতার লড়াই নিয়ে, সেটাই কি সত্যি! এমন অনেক প্রশ্নেই উত্তরই অধরা। আর তারই মধ্যে দলের অন্দরেই চলছে টুইট-যুদ্ধ। এ যেন একেবারে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। কোনও শিবিরই অন্যকে এক ইঞ্চিও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়তে নারাজ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা