মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বহিরাগত’ বলে ভিডিয়ো বার্তা, কেএলও নেতা জীবন সিংহের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা
শনিবার রাতে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় মামলা হয়েছে জীবন সিংহের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: কেএলও প্রধান জীবন সিংহের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করল রাজ্য। সদ্য প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিয়োতে কেএলও প্রধান সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগেও তৃণমূলকে হুমকি দেওয়ার নজির রয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ এই প্রথম। তাই এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। গতকাল রাতে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থাআয় জীবন সিংহের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই এই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন জীবন সিং। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘মমতার বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।’ এই ভিডিয়োতে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার পৃথক রাজ্যের দাবিকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। গোপন ডেরা থেকে প্রকাশ করা ভিডিওতে তাঁর বক্তব্য, ‘ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে এবং পরে কোচ সাম্রাজ্য স্বাধীন রাজ্য ছিল। পরে ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হয় এই ভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সেখানকার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জেরে পূর্ব বঙ্গের বাঙালিরা এই ভূমিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।’ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা ভাগের তত্ত্ব একেবারেই সঠিক নয় বলেই দাবি জীবন সিংহের। যদিই এই ভিডিডবোর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
১৯৯৮ সাল থেকে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে কেএলও। UAPA ধারায় আগেও বহু মামলা রয়েছে জীবন সিংহের বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছে, মায়ানমারের কোনও অজ্ঞাত জায়গা থেকে তিনি এই বার্তা দিচ্ছেন কোচ কামতাপুর ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পৃথক রাজ্য গঠন হলে বহিরাগত সরকারের নির্যাতন থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। কোথা থেকে তিনি এই ভিডিয়ো বার্তা দিচ্ছেন, তা জানতে আইপি অ্যাড্রেস খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
তৃণমূলকে হুমকি অবশ্য এটাই প্রথম নয়। মাসখানেক আগেই কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছিল কেএলও-র তরফ থেকে। কেএলও-এর লেটার হেডে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে কার্যত প্রাণে মারার হুমকির কথা লেখা রয়েছে। কেএলও-এর বক্তব্য, নির্বাচনের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ, ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত ৫০টি ঝুপড়ি