UGC-NET Question Leak: মানুষ মারতে দেড় লক্ষ, ফেসবুক হ্যাক ৪১ হাজারে, কীভাবে বরাত দেওয়া হয় ‘ডার্ক ওয়েবে’?
UGC-NET Question Leak: অনুমান করা হচ্ছে, নেট-এর প্রশ্নপত্র কেনার জন্যও ৫-৬ লক্ষর লেনদেন হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এখন আর হাতে লেখা হয় না প্রশ্নপত্র, কোনও সার্ভারে রাখা হয়। সেই সার্ভার থেকে প্রশ্ন বের করে ডার্ক ওয়েবে তুলে দিয়েছে কেউ বা কারা।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ইউজিসি নেট (UGC-NET) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে ডার্ক ওয়েবে। সেই কারণেই রাতারাতি বাতিল করতে হয়েছে পরীক্ষা। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁস হতে দেখা গিয়েছে আগে। তাই বলে ডার্ক ওয়েব! সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে যে অন্ধকার ওয়েব দুনিয়া, সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে এল প্রশ্নপত্র? কীভাবে পৌঁছে গেল পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা প্রশ্নপত্র তো সামান্য বিষয়, মানুষ মারার বরাতও দেওয়া হয় এই ডার্ক ওয়েবে। লিখে দেওয়া হয় দর।
ইন্টারনেটের সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনের বাইরে, এমন কিছু জায়গা আছে, যার সাধারণ মানুষ খোঁজ পায় না। আপনি-আমি সাদা চোখে তা দেখতে পাই না। সেই মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হয় কীভাবে? সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে TV9 বাংলা। তিনি জানিয়েছেন, একজন সাধারণ ছাত্র বা ছাত্রী ওই সব সাইট অ্যাকসেস করতে পারবে না। যে করেছে, সে এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছে।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন হয় না এই ক্ষেত্রে। এর জন্য প্রয়োজন হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির। অনুমান করা হচ্ছে, নেট-এর প্রশ্নপত্র কেনার জন্যও ৫-৬ লক্ষর লেনদেন হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এখন আর হাতে লেখা হয় না প্রশ্নপত্র, কোনও সার্ভারে রাখা হয়। সেই সার্ভার থেকে প্রশ্ন বের করে ডার্ক ওয়েবে তুলে দিয়েছে কেউ বা কারা। সেখান থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে ছড়িয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্র। উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার এখনও ভারতে অবৈধ।
সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় আরও জানাচ্ছেন, গুগল সার্চ ব্যবহার হয় মাত্র ৫ শতাংশ, বাকি পুরোটাই ডার্ক ওয়েব। আর এই ডার্ক ওয়েব হল ভয়ঙ্কর। কে, কোথায়, কখন ঘরে বসে অ্য়াকসেস করছে, তা ধরাই যায় না। আর প্রশ্নপত্র তো সামান্য ব্যাপার, অপরাধের দুনিয়া খুলে যেতে পারে এই ডার্ক ওয়েবে। আছে মানুষ মারার উপায়ও!
রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডের মতো বিভিন্ন ‘প্রোডাক্টে’র দাম দেওয়া আছে ওই সব গোপন সাইটে। যেমন- ফেসবুক হ্যাক করার জন্য খরচ ৫০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪১,০০০), ওয়েবসাইটের সুরক্ষা ভেঙে দেওয়ার জন্য ৪০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩,০০০), মানুষ মারার জন্য ১৭০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৪২,০০০)। এমনকী ব্যাঙ্কের অ্যাপের পাসওয়ার্ড হ্যাক করাও কোনও বড় বিষয় নয়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস যাতে না হয়, তার জন্য সার্ভারে উচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে, কোনও ফাঁক রাখা যাবে না।