Upper Primary: ৩১৮ দিনের ধরনার পর আপার প্রাইমারি নিয়োগ মামলায় পুজোর মুখে সুখবর আদালতের
Upper Primary: সাত বছর ধরে যে চাকরি আটকে ছিল, তা কাউন্সিলিং পর্যন্ত এগোল। ৩১৮ দিন ধরে ধর্মতলায় ধর্না চালাচ্ছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। পুজো মুখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাঁদের জন্য সুখবর।
কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সিলিংয়ের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আদালত এটাও স্পষ্ট করেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইলে কাউন্সিলিং করতে পারবে। অর্থাৎ মেরিট লিস্টের চাকরিপ্রার্থীরা কে কোন স্কুলে যাবেন, সেই বাছাই প্রক্রিয়া কমিশন শুরু করতে পারবে। তবে এখনই তাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়ার নির্দেশ আসেনি। সাত বছর ধরে যে চাকরি আটকে ছিল, তা কাউন্সিলিং পর্যন্ত এগোল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ অক্টোবর। শূন্যপদের আপডেট ও অন্যান্য যাবতীয় ইস্যু সেদিনের শুনানিতে বিচারপতি শুনবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ৩১৮ দিন ধরে ধর্মতলায় ধরনা চালাচ্ছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। পুজো মুখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাঁদের জন্য সুখবর।
২০১১ ও ২০১৫ উচ্চ প্রাথমিক টেটে সফল পরীক্ষার্থীরা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। সেই নিয়োগ নিয়ে রাজীব ব্রম্ভ সহ ছয় হাজার চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, অ্যাকাডেমিক রেশিও মানা হয়নি, টেটে নম্বর দুর্নীতি রয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ন করা হয়, যা বেআইনি বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেন তাঁরা। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর আদালত মেরিট লিস্ট জমা করার নির্দেশ দেন। মেধা তালিকা কমিশনে জমাও করে এসএসসি। ১৩৩৩৯ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করে কমিশন।
উল্লেখ্য, এর আগে মেধাতালিকা বের হওয়ার পরও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বাতিল করে দেন প্যানেল। পরে বিভিন্ন এজলাস ঘুরে মামলা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে। সেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও।
এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন ৩০ অগস্ট। সেই মামলাতেই মঙ্গলবারের শুনানিতে কাউন্সিলিং শুরু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।