চা কাকুর চায়ের দোকান, ‘চলে এসো’, ফেসবুকে খোলা নিমন্ত্রণ
Viral Cha Kaku | “বেকার বসে থেকে কী করব, তাই ভাবলাম ছোট করে শুরু করি।”
২০ জুলাই, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নিজের দোকান ‘উদ্বোধনের’ কথা জানিয়েছেন মৃদুল দেব। দুপুরে নিজের ওয়ালে নতুন দোকানের সঙ্গে ছবি দিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মৃদুলবাবু লিখেছেন, “আমার নতুন দোকান। ছোট করে শুরু করলাম। যারা যারা আমার দোকানের চা খেতে চাও চলে এসো।” বেলা গড়াতে না গড়াতেই সেই পোস্ট ভাইরাল। যার সুবাদে আবারও শিরোনামে চা কাকু (Cha Kaku)। মৃদুল বাবুর ওপেন ইনভিটেশনে নেটপাড়ায় একেবারে হৈ হৈ কাণ্ড। কমেন্টে অভিনন্দনের বন্যা। শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছে ফোনও। একদল অত্যুৎসাহী তো দোকানে এসে হাজির। চা কাকুর চায়ের দোকান থেকে ফেসবুক লাইভে গণ চা খাওয়া উৎসব পালন করবেন তাঁরা! এসব দেখে খানিক ভীতই মৃদুল বাবু। তাঁর বক্তব্য, “আমি অশিক্ষিত। এসব ভিডিয়ো-টিডিয়ো কিছুই বুঝি না। সত্যি বলতে ভয়ই করে”।
তা, হঠাৎ চায়ের দোকান কেন? চা খেতে গিয়ে ভাইরাল, সেই ভেবেই কি…? মৃদুলবাবুর উত্তর, “বেকার বসে থেকে কী করব, তাই ভাবলাম ছোট করে শুরু করি।” ছেলে অজিত যোগ করলেন, “বাবার যা বয়স, তাতে রাজমিস্ত্রীর কাজ আর সম্ভব নয়। তাই বসে বসেই যদি উপার্জন হয়, সেকারণেই চায়ের দোকান।”
স্ত্রী, বোন, ছেলে আর ছেলের বউ, এই হল মৃদুলবাবুর ছোট্ট সংসার। এখন রোজগেরে বলতে ছেলেই। অজিত বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী। লকডাউনে কাজ হারিয়ে রোজগার নেই চা কাকুর। পেট চালাতে বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন মৃদুলবাবুর স্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প সন্ধানে ‘চা শিল্পেই’ লগ্নি।
গত বছর দেশে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণার পরপরই রাস্তায় চায়ের দোকানে চা খেতে এসে ভাইরাল হয়েছিলেন মৃদুলবাবু। বছর ঘুরেছে। পরিস্থিতির অদলবদলও হয়েছে। তবে সামগ্রিক ছবিটা বদলায়নি। উল্টে রোজগার হারিয়ে বেছে নিতে হয়েছে অন্য পথ। করোনা অভিশাপে পেশা বদলাতে হয়েছে অনেককেই। সেই তালিকায় এবার নবাগত ‘চা কাকু’।