Watgunge Case: স্বামীর ঠাঁই হয়েছিল নেশামুক্তি কেন্দ্রে, ঠিক কী কারণে ‘খুন’ করেছিলেন ভাসুর? ওয়াটগঞ্জকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Watgunge Case: প্রতিবেশীদের দাবি, দুর্গার পরিবারে প্রায়শই অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবারের দ্বায়িত্ব ছিল ভাসুর শুদ্ধনীলাঞ্জন সরখেলের হাতেই। কারণ মৃত মহিলার স্বামী বিগত কয়েক মাস নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিলেন।
কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ-রহস্যের তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, মৃত মহিলা দুর্গা সরখেল ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার 23/B হেমচন্দ্র স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে গত ২ বছর ধরে স্বপরিবারে থাকতেন। তাঁকে খুন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ভাসুর শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল। পুলিশ এলাকায় খবর নিয়ে জানতে পেরেছে, গ্রেফতার হওয়ার আগেও শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেলকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা।।
প্রতিবেশীদের দাবি, দুর্গার পরিবারে প্রায়শই অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবারের দ্বায়িত্ব ছিল ভাসুর শুদ্ধনীলাঞ্জন সরখেলের হাতেই। কারণ মৃত মহিলার স্বামী বিগত কয়েক মাস নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্গার স্বামী অত্যন্ত নেশাগ্রস্ত ছিলেন। এর আগেও তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে মাঝেমধ্যেই ফেরত চলে আসতেন তিনি। শনিবার হঠাৎ বাড়িতে ফিরে আসনে দুর্গার স্বামী। এরপরেই দুর্গার পরিবারের তুমুল ঝগড়া-অশান্তি শুরু হয়। তবে এত নৃশংসভাবে যে দুর্গাকে খুন করা হয়েছে, তা এক মুহূর্তের জন্যও টের পাননি প্রতিবেশীরা।
পুলিশের অনুমান, শুদ্ধনীলাঞ্জনের একার পক্ষে এমন নৃশংসভাবে খুন, আর তারপর দেহ খণ্ড খণ্ড করে প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দিয়ে আসা সম্ভব নয়। আরও কারোর যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা পরিবারের কোনও সদস্য কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মৃত মহিলার স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ভাসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহিলার দেহের বাকি অংশের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারের পিছনে তন্ত্রসাধনার যোগও রয়েছে।