Abhishek Banerjee: ব্লকে ব্লকে ঢাকঢোল বাজিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলব, সুকান্ত-শুভেন্দুদের কড়া বার্তা অভিষেকের
Abhishek Banerjee: অভিষেকের কথায়, ১০ বছর আগের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এখনকার পশ্চিমবঙ্গের অনেক তফাৎ। কেন্দ্রের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীই বলেছেন, কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। কেন্দ্র পরিদর্শক দল পাঠিয়েছে, তারাও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে।
কলকাতা: বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। আর বাংলার বিজেপি নেতারা দিল্লিতে নিজেদের নম্বর বাড়াতে এখানে তা ফলাও করে বলছে। বৃহস্পতিবার এভাবেই বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি, এতদিন ধরেই তাঁরা বারবারই বলে এসেছেন, কেন্দ্র বাংলাকে টাকা না দিয়ে বঞ্চনা করছে। এখন সে কথা নিজে মুখে বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন অভিষেক বলেন, ব্লকে ব্লকে ঢাকঢোল বাজিয়ে এবার তিনি বলবেন, বিজেপি নেতারা বাংলার উন্নয়নে টাকা আটকাচ্ছেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ খেতে পাচ্ছে না, নিজেরাই বলছে ‘আমরা বাংলার টাকা আটকে দিয়েছি’। আমরা এতদিন যেটা বলতাম, এখন আপনারা (বিজেপি নেতারা) তা নিজে মুখে স্বীকার করছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলছেন যেখানে সভা করছেন, মিছিল করছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তিনি সব জায়গায় বলছেন ‘মোদীজীর টাকা, আমরা টাকাটা আটকে দিয়েছি’। আমরা তো এতদিন ধরে এটাই বলতে চেয়েছি, বাংলার টাকা আটকে দিয়েছে। আমি বিজেপির প্রতিটা নেতাকে ধন্যবাদ জানাই প্রথমবার সত্য স্বীকার করার জন্য। আমিও ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলার প্রতিটা ব্লকে আগামিদিন যাব। গিয়ে মানুষকে বলব, আমরা এতদিন যা বলেছি ওরা তা নিজমুখে স্বীকার করল।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি সবসময় বলে পেট্রোল-ডিজেলের দামে মুখ্যমন্ত্রী কেন ছাড় দিচ্ছেন না? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন, ৯৭ হাজার কোটি, ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলার আটকে রেখে দিয়েছেন। এই টাকাটা ছেড়ে দিন। ২০ বছর সরকার ট্যাক্স নেবে না, আমি দাঁড়িয়ে থেকে বলছি। আমাদের জিএসটিবাবদ যা প্রাপ্য, ১০০ দিনের কাজে যা প্রাপ্য, বাংলা আবাস যোজনায় যা প্রাপ্য তা সেগুলো আগে দিতে হবে।” অভিষেকের কথায়, ১০ বছর আগের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এখনকার পশ্চিমবঙ্গের অনেক তফাৎ। কেন্দ্রের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীই বলেছেন, কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। কেন্দ্র পরিদর্শক দল পাঠিয়েছে, তারাও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিষেকের সংযোজন, “দিল্লির কাছে নম্বর বাড়াতে গিয়ে, নিজেরা বড় হতে গিয়ে বাংলার ১০ কোটি মানুষকে ছোট করছে। গর্ব করে বলবেন ‘বাংলার টাকা আটকে দিয়েছি’, সে জন্য রাজনীতিতে এসেছেন?” একজন প্রকৃত বঙ্গসন্তান দিল্লি থেকে বাংলার প্রাপ্য আদায় করে আনবে, ছিনিয়ে আনবে, বাংলাকে ছোট করবে না, মন্তব্য অভিষেকের।