Suvendu Adhikari: ‘চুরি আটকান, তাহলে একসঙ্গে দিল্লি যাব রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে’, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর
West Bengal Assembly: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষেই তুমুল চাপানউতর চলল বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিন বক্তব্যের শেষের দিকে বিরোধী দলনেতা বলেন, যদি চুরি না করা হয়, তবে তৃণমূলের সঙ্গে তিনি একসঙ্গে দিল্লি যাবেন। রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ের জন্য।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে মঙ্গলবার বিধানসভায় আলোচনা ছিল। প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দল। আলোচনায় প্রস্তাবের বিপক্ষে এদিন বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।’ সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষেই তুমুল চাপানউতর চলল বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিন বক্তব্যের শেষের দিকে বিরোধী দলনেতা বলেন, যদি চুরি না করা হয়, তবে তৃণমূলের সঙ্গে তিনি একসঙ্গে দিল্লি যাবেন। রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ের জন্য।
এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ এবং একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, দু’টি অভিযোগ বাদে বাকি সব অভিযোগের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকার সিলমোহর দিয়েছে। সেই কারণেই টাকা আটকানো হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আবাসের কাজ ও একশো দিনের কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা।
বাংলার টাকা আটকে রাখার যে অভিযোগ বার বার শাসক শিবির করে আসছে, আজ সেই নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রাজ্যে এসে নাম বদলে যাওয়ার অভিযোগ, জল জীবন মিশন থেকে শুরু করে শিক্ষা খাতে পুরো টাকা খরচ করতে না পারা-সহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই কারণে এই দুই খাতে আগামী দিনেই টাকা পাবে না রাজ্য। একইসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, যদি চুরি না করা হয়, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ টাকার দাবিতে তৃণমূলের সঙ্গে তিনিও দিল্লিতে যাবেন।
এদিকে শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর পাল্টা দাবি, বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চন্দ্রিমা বলেন, ‘শুভেন্দু যে ঘটনাগুলির দাবি করছেন, সেগুলি সবই ২০১৮ সালের। তখন শুভেন্দুও তৃণমূলেই ছিলেন।’