Sukanta Majumdar: ‘যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি কিনতে হচ্ছে, চপ ও কাশফুল শিল্প বাদে কিছুই হয়নি’, খোঁচা সুকান্তর

Sukanta Majumdar: সুকান্ত বাবু বলেন, "আগে টেট ও এসএসসি পরীক্ষা বছর বছর হত। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথা, এগুলি দুর্গাপুজো নয়, এসএসসি সেই জন্য প্রতিবছর হয় না।"

Sukanta Majumdar: 'যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি কিনতে হচ্ছে, চপ ও কাশফুল শিল্প বাদে কিছুই হয়নি', খোঁচা সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2022 | 5:13 PM

কলকাতা : রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের বেহাল দশা নিয়ে ফের মমতার সরকারকে একহাত নিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বললেন, “রাজ্যে যাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, তাঁদের চাকরি কিনতে হচ্ছে। লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আগে টেট ও এসএসসি পরীক্ষা বছর বছর হত। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথা, এগুলি দুর্গাপুজো নয়, এসএসসি সেই জন্য প্রতিবছর হয় না।” মঙ্গলবার এইভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ” এসএসসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা দ্বিগুণ করবেন। নিজের চিরাচরিত অকৃত্রিম স্টাইলে বলেছিলেন, ডবল ডবল চাকরি হবে। যেন ডবল ডিমের ওমলেট খাওয়াবেন উনি। সেই ডবল চাকরি তো হয়নি, উল্টে দেখা গেল শূন্যপদের সংখ্যা ৩৩ হাজার থেকে ৬২ হাজার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিয়োগ কোথাও কিছু হল না। বিগত ছয় বছর ধরে এসএসসির কোনও বিজ্ঞপ্তি বেরোয়নি।”

শুধু শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যে শিল্পের দুর্দশা নিয়েও মঙ্গলবার আক্রমণ শানান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। বললেন, “আমরা ভেবেছিলাম, বিগত এক বছরে শিল্প হবে। যখন সরকারি চাকরি একদিকে হচ্ছে না, তখন রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কোনও শিল্পের মাধ্যমে হয়ত কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমরা দেখলাম চপ ও কাশফুল শিল্প বাদে আর কোনও শিল্প নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত পাঁচটি বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে ১২ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের গল্প শোনালেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যের জিডিপিতে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় এই বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ইএসআইয়ের রেকর্ডও তাই বলছে। কারণ, যদি কর্মসংস্থান হত, তাহলে ইএসআই নথিভুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু তা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে বিগত ৫-৭ বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়েনি।”

সেই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর আমলে এমন উন্নয়ন আমরা দেখেছি, যা রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। রাজ্যের ঋণের বোঝা এখন ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকার। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ তিন বার ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর জনমোহিনী প্রকল্পের ঠেলায় রাজ্যের মানুষের উপর ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রত্যেক ব্যক্তি পিছু ৮০ হাজার ৩০০ টাকার বিশাল ঋণের ভার চেপে রয়েছে, যেটা ভোটের আগে ৪৫ হাজার বলা হচ্ছিল।”