Teacher Transfer: শিক্ষক বদলি নিয়ে বড় নির্দেশ, এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়, জানাল ডিভিশন বেঞ্চ
HC: বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি।
কলকাতা: শিক্ষক বদলি নিয়ে রাজ্যের তৈরি গাইডলাইনে আপত্তি করছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়। বদলি নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে বলেছিলেন। তবে রাজ্য যে গাইডলাইন তৈরি করেছে, তাতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ১০সি বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কয়েকজন মামলা করেন। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত বদলির সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেন তাহলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কমিশন। ১৩ জুন মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। তবে এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন।
বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’
এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। অর্থাৎ চাকরি জীবনে ছেদ। যদিও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে নতুন বদলি নীতি তৈরি হতেই তার বিরোধিতায় মামলা হয়। মামলাকারীরা জানান, একই জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। তাতে অসুবিধা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ।