The Kerala Story: সুপ্রিম রায়ে খুশির হাওয়া সুদীপ্তর পরিবারে, কী বলছেন দাদা
The Kerala Story: জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে ১৯৭৪ সাল অবধি পড়াশোনা করেছেন সুদীুপ্ত। পড়াশোনা করেছেন শিলিগুড়িতেও। তারপর উচ্চশিক্ষা কলকাতায়।
জলপাইগুড়ি: বাংলায় হয়েছিল নিষিদ্ধ। ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এবার সেখানেই বড় ধাক্কা রয়েছে রাজ্য। ‘দ্য কেরালা স্টোরির’ উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাপানো নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাতেই উচ্ছ্বসিত পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Director Sudipta Sen)। উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। রায়ের পর সুদীপ্ত সেনের দাদা মনোজ সেন বলেন, “আমরা এটাই আশা করছিলাম। এখন রায় শুনে খুবই ভাল লাগছে। আমি চাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখুক এই সিনেমাটা। সিনেমা দেখার পর ভাল-মন্দ যা মনে হয় তাই বলুক।”
‘দ্য কেরালা স্টোরির’ পরিচালক সুদীপ্ত সেন আদতে জলপাইগুড়ির ছেলে। তাঁর জন্ম জলপাইগুড়িতেই। বাবা ছিলেন ব্যাঙ্ক কর্মী। তারা পাঁচ ভাইবোন। উচ্চ শিক্ষার পর সুদীপ্তবাবু কলকাতায় চলে গেলেও বাকি ভাইবোনেরা জলপাইগুড়িতেই রয়ে যান। এদিন ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে নিজেদের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণাও করতে দেখা যায় মনোজবাবুকে। কীভাবে বাবার বদলির চাকরির জন্য বারবার এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলে যেতে হয়েছিল, কীভাবে একসঙ্গে তাঁরা ছোটবেলায় দিন কাটাতেন, কীভাবে যৌথ পরিবারে ভাই-বোনদের সঙ্গে বেড়ে উঠেছিলেন এদিন সে সবেরই স্মৃতিচারণা করেন তিনি। মনোজবাবু বলেন, “ওকে তো এখন সবাই চিনে গিয়েছে। সুদীপ্ত আমার নিজের ছোট ভাই। ছোটবেলায় এ রাজ্যেই বেড়ে উঠেছে ও। এ রাজ্যেই জন্ম। তবে বাবার চাকরিতে বদলি হয়ে যাওয়ায় আমাদের আলিপুরদুয়ারে চলে যেতে হয়েছিল। ওখানেও ছোটবেলার একটা বড় অংশ কাটে। পরবর্তীতে আবার আমরা কোচবিহারেও চলে যাই। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি, তারপর শিলিগুড়িতে চলে আসি আমরা।”
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে ১৯৭৪ সাল অবধি পড়াশোনা করেছেন সুদীুপ্ত। পড়াশোনা করেছেন শিলিগুড়িতেও। তারপর উচ্চশিক্ষা কলকাতায়। অন্যদিকে দাদা মনোজ সেনের বড় মেয়ে অঙ্গনা সেন আবার একজন প্রোডাকশন ডিজাইনার। অঙ্গনা কেরালা স্টোরি সিনেমাতে প্রোডাকশন ডিজাইন করেছেন।