Justice Abhijit Ganguly: বনধে শামিল হলে কোন আইনে কর্মজীবনে ছেদ? রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Howrah: হাওড়ার ডোমজুড়ের মহিষনালা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষকে বদলি করা হয় আমতার পশ্চিম নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
কলকাতা: ডিএর (DA) দাবিতে বনধ ডেকেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সেই বনধে শামিল হন হাওড়ার ডোমজুড়ের এক শিক্ষকও। অভিযোগ, এরপরই ওই শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমিতকুমার ঘোষ নামে ওই শিক্ষক। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। সেখানে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। বনধে সামিল হলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে, কীভাবে রাজ্য এই বিজ্ঞপ্তি দিল প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কোন আইনের বলে এই বিজ্ঞপ্তি, জানতে চান তিনি। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন না, তাহলেই তো আর ঝামেলা হয় না।’
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ‘বনধে’ শামিল হয়েছিলেন হাওড়ার প্রাথমিক শিক্ষক অমিত ঘোষ। তাঁকে শোকজ করা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। অভিযোগ, পরে ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বদলির নোটিস দেওয়া হয়। হাওড়ার ডোমজুড়ের মহিষনালা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষকে বদলি করা হয় আমতার পশ্চিম নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অমিতবাবুর দাবি, গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বনধে সামিল হন তিনি। এরপর ১৪ এপ্রিল তাঁকে শোকজ করা হয়। ২৫ এপ্রিল তাঁকে প্রশাসনিক কারণে এবং জেলার শিক্ষার উন্নতির জন্য বদলি করা হচ্ছে মর্মে নোটিস পাঠানো হয়। এরপরই আদালতে যান তিনি। বদলির নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।