Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় এনামুলের তিন ভাইপো এবার ইডির স্ক্যানারে, বাংলাদেশ-আরব যোগ : সূত্র
Cattle Smuggling Case: সূত্রের খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পর এই সমস্ত সংস্থা থেকে বিপুল টাকা সরানো হয়েছে।
কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ইডি হেফাজতে এনামুল হক। এবার সেই এনামুলের তিন ভাইপো সিআইডির স্ক্যানারে। সূত্রের খবর, এনামুলের তিন ভাইপোর ১২টি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে সিআইডি। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে তল্লাশিতে সেই সমস্ত সংস্থার নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পর এই সমস্ত সংস্থা থেকে বিপুল টাকা সরানো হয়েছে। সেই টাকা বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড আরব এমিরেটস বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) পাঠানো হয়েছেও বলে সূত্রের দাবি। দুই দেশে বেনামে ব্যবসা চলছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার ২৭ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের এক বহুতলে অভিযান চালায় সিআইডির দল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। জানা গিয়েছে, এই বহুতলেই এনামুল হকের তিন ভাইপোর অফিস। আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশ-দুবাইয়ে সেই টাকা যায় বলেও ইডি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারও অভিযান চলে সেই অফিসে। দিনভর তল্লাশিতে একাধিক নথি উঠে আসে বলে সূত্রের খবর।
এই গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। চার বছর আগে বিশু শেখের সিন্ডিকেটের নাম উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এরপরই সেই সিন্ডিকেটের মাথার খোঁজে নেমে এনামুল হকের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয় এনামুলকে। সেই প্রথম সামনে আসে গরু পাচারের রমরমার বিষয়টি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গরু পাচারের তদন্ত শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ে। গত দু’বছরে অনেকটাই গতি বাড়িয়েছে সে তদন্ত। এনামুলের পাশাপাশি উঠে এসেছে সায়গল হোসেন, আব্দুল লতিফ, টুলু মণ্ডল, কেরিম শেখ, ভাদু শেখ, সোনা শেখের নাম। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় কোমর বেঁধে নামে সিআইডিও। ২০১৯ সালের একটি মামলায় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সুতি ও জঙ্গিপুরে তদন্ত শুরু করেছে তারা। জেনারুল শেখ নামে একজনকে গ্রেফতারও করেছে।