Income Tax: পার্থ-পরেশ-অনুব্রতর ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন দেখতে চায় CBI, আয়ের উৎসই বা কী, স্ক্যানারে সে প্রশ্নও

Income Tax: পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্নের নথি চাওয়া হয়েছে। মূলত তদন্তকারীরা জানতে চান, গত পাঁচ বছরে এই তিন নেতার সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে।

Income Tax: পার্থ-পরেশ-অনুব্রতর ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন দেখতে চায় CBI, আয়ের উৎসই বা কী, স্ক্যানারে সে প্রশ্নও
আয়কর দফতরের কাছ থেকে হিসাব তলব সিবিআইয়ের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 1:44 PM

কলকাতা: আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কাছ থেকে শাসকদলের তিন হেভিওয়েট নেতার নথি চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে সিবিআই। পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্নের নথি চাওয়া হয়েছে। মূলত তদন্তকারীরা জানতে চান, গত পাঁচ বছরে এই তিন নেতার সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে। একইসঙ্গে সিবিআই জানতে চায়, আয়ের উৎস হিসাবে সেখানে কী দেখানো হয়েছে। আয়কর দফতর থেকে তথ্য এলে মন্ত্রীদের থেকেও নথি চাওয়া হবে বলেই সূত্রের দাবি। মূলত দু’ তরফের নথি মিলিয়ে দেখা হবে।

একদিকে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ঘাড়েও জোড়া মামলা, গরু পাচারকাণ্ড ও ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তাঁদের আয়কর সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। গত পাঁচ বছরের আয়করের হিসাব খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোন বছর কত আয় বেড়েছে তাও যেমন দেখা হবে, দেখা হবে আয়ের উৎস কী। সিবিআইয়ের এই তথ্যতালাশ গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে তদন্তের ক্ষেত্রে।

এসএসসি নিয়োগে সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা হয়। যে সময় এই সুপারিশ কমিটি ছিল, সে সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তিন তিনবার পরেশ অধিকারীকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী, মেয়ের চাকরি পাওয়ায় তাঁর কী ভূমিকা, কোনওরকম টাকার বিনিময়ে মেয়ের এই চাকরি তিনি পাইয়ে দিয়েছেন কি না জানতে চায় সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়িয়েছে গরু পাচার মামলায়। যে মামলায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখানেও কোনও আর্থিক লেনদেন রয়েছে কি না জানতে চায় সিবিআই।