Chiranjit on Bony: ‘সুনীতি না দুর্নীতির টাকা, তা দেখার দায় নেই’, বনির পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক চিরঞ্জিত
Recruitment Scam: চিরঞ্জিতের কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই চেকে পেমেন্ট করা হয় শিল্পীদের। সিরিয়ালে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা চেকেই পারিশ্রমিক পান বলে দাবি করেন তিনি।

কলকাতা: শিল্পীরা ছবিতে কাজ করেন, টাকা কোথা থেকে আসছে সেটা ভাবার দায়িত্ব তাঁদের নয়। সোমবার এমনই দাবি করলেন অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakrabarty)। নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আদালতে বারবার দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এই কেলেঙ্কারির টাকা গিয়েছে বাংলা সিনে দুনিয়াতেও। টলিপাড়ায় দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে বলে তথ্য উঠে এসেছে বলেও ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে চারদিকে। ইতিমধ্যেই টলিপাড়ার চেনা মুখ বনি সেনগুপ্তকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তালিকায় নাকি আরও টলিপাড়ার তারকার নাম রয়েছে বলেও খবর। এ নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল, টালিগঞ্জের এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই ধরনের খবর কতটা হতাশ করে তাঁকে?
চিরঞ্জিতের সাফ জবাব, “হতাশ হই না। হওয়ার কোনও কারণও নেই। কারণ এটা যুগ যুগ ধরে চলছে। কোনও ছবি তৈরিতে কোথা থেকে টাকা আসছে সেটা জানার দায় ইন্ডাস্ট্রির নয়। কারণ টাকা আসবে। তা সুনীতির টাকা নাকি দুর্নীতির টাকা, এ বিচার করার দায়িত্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নেয়নি। তাহলে বোধহয় ছবিই হতো না। বহু টাকা বহুভাবে আসে। আমি যতদূর জানি, ব্ল্যাক মানি হোয়াইট করতে আসেন অনেকেই। প্রথম জীবন থেকেই শুনে আসছি এরকম হয় নাকি। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় না কোনও পরিচালক প্রযোজকের ঠিকুজি কুষ্ঠি নিয়ে ছবি শুরু করেছে।”
তবে বনিদের মতো একেবারে নতুন প্রজন্মের এভাবে নাম উঠে আসা নাড়া দেয় চিরঞ্জিতকে। তিনি বলেন, “এভাবে কেউ এক্সপোজ হলে খারাপ তো লাগেই। একটা ছোট্ট ছেলে, সবে কেরিয়ার শুরু হয়েছে, সে যদি টাকা পাওয়ার জন্য জড়িয়ে যায়। সে হয়ত পারিশ্রমিক হিসাবে নিয়েছে, সেটা কী সোর্স থেকে এসেছে তা তো জেনে করেনি। এত হইহই চলছে এটা নিয়ে। দুর্ভাগ্যজনক।”
চিরঞ্জিতের কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই চেকে পেমেন্ট করা হয় শিল্পীদের। সিরিয়ালে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা চেকেই পারিশ্রমিক পান বলে দাবি করেন তিনি। চিরঞ্জিতের কথায়, “চেকে পেমেন্ট হলে কে দিয়েছে, সেই লোকটা কীভাবে টাকা করেছে, সেটা তো প্রোডাকশন দেখবে, শিল্পী দেখবে না। এটা কালো দাগ বলে ধরলে হবে না।”





