SSKM Hospital: ঢপের রোগ, ঢপের রোগী, তৃণমূল নেতাদের মস্তি করার জায়গা উডবার্ন: অধীর
Adhir Ranjan Chowdhury: অভিযুক্ত, ধৃত তৃণমূল নেতারা কেন দিনের পর দিন এসএসকেএম হাসপাতালে বেড 'দখল' করে রেখেছেন? সেই ইস্যুতেই প্রতিবাদে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মিছিল এসএসকেএম পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এরপর সেখানেই বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অধীর।
কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়ে বাধা পেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শনিবার দুপুরে কংগ্রেসের তরফে এসএসকেএম অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিশাল মিছিল করে, স্লোগান দিতে দিতে অধীরের নেতৃত্বে এসএসকেএম হাসপাতালের দিকে এগোচ্ছিল কংগ্রেসের মিছিল। অভিযুক্ত, ধৃত তৃণমূল নেতারা কেন দিনের পর দিন এসএসকেএম হাসপাতালে বেড ‘দখল’ করে রেখেছেন? সেই ইস্যুতেই প্রতিবাদে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মিছিল এসএসকেএম পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এরপর সেখানেই বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অধীর।
এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একহাত নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “যাঁরা চুরি, বাটপারি করে, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাঁদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখন উডবার্ন ওয়ার্ড ব্যবহার হয়। যেন ফাইভ স্টার হোটেল। সন্ধের পর তৃণমূল নেতাদের মস্তি করার জায়গায় রূপান্তরিত হয়েছে এই ওয়ার্ড। ৬৫-৭০ বছরের একজন লোককে শিশুদের ওয়ার্ডে ভর্তি করছে। এদের সব ঢপের রোগ হয়েছে। এরা রোগী নয়, ঢপের রোগী। তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, এসএসকেএম হাসপাতাল প্রেসিডেন্সি জেলের কয়েদিদের বিশ্রামাগারে পরিণত হয়েছে।
পুলিশের তরফে বাধা পাওয়ার পর কংগ্রেসের তরফে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য। অধীরের নেতৃত্বে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন, যতক্ষণ না ডেপুটেশন জমা দিয়ে ফিরছে তাঁদের প্রতিনিধিদল, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যারিকেডের সামনে রাস্তায় বসে থাকবেন তাঁরা। এরপর রাস্তায় বসে পড়েন অধীর ও কংগ্রেসের অন্য নেতারা। রাস্তার উপর বসেই স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেসের নেতারা।