Panchayet Election: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দোবস্ত করুন, রাজ্যপালকে আর্জি অধীরের
Adhir Ranjan Chowdhury: ভোটের সময়ে রাজ্য পুলিশের উপর যে খুব একটা ভরসা রাখতে পারছে না কংগ্রেস, তা পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর এবার সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে ফেললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) তরফে। বরং রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসার কথা বলতে শোনা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার মুখে। কিন্তু ভোটের সময়ে রাজ্য পুলিশের উপর যে খুব একটা ভরসা রাখতে পারছে না কংগ্রেস, তা পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আর এবার সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (C V Ananda Bose) চিঠি লিখে ফেললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। গতকাল রাজ্যপালকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন অধীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যপালকে সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে খুনের অভিযোগের বিষয়টি নিয়েও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। চিঠিতে অধীর লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে জঙ্গলের রাজ চলছে। জঙ্গলের দানবের মতো শাসক দলের আশ্রিত গুন্ডা-দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শাসক দলের এই ধরনের মনোভাবের কারণে, গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্তগুলিই আজ কবরে চাপা পড়ে গিয়েছে।’ এমন অবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই কারণে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যাতে নির্বাচন করানো বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যপালকে সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, অতীতে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি, আরও জোরাল করছে কংগ্রেস শিবির। এদিকে রাজ্য পুলিশের উপর কংগ্রেস ভরসা না রাখতে পারায় ইতিমধ্যেই অধীরবাবুদের খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরেও যে কংগ্রেস শূন্য পেয়েছিল, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কুণাল।