Money Recover: দেড় মাসেই এ রাজ্য থেকে উদ্ধার ৬০ কোটির উপরে নগদ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, রইল ঘটনাক্রম…

Money Recover: শুরুটা হয়েছিল গত ২২ জুলাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটি আবাসনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে।

Money Recover: দেড় মাসেই এ রাজ্য থেকে উদ্ধার ৬০ কোটির উপরে নগদ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, রইল ঘটনাক্রম...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 1:22 AM

কলকাতা: হিন্দিতে খুব প্রচলিত একটা কথা আছে, ‘পয়সা ফেকো তামাশা দেখো’! ইদানিং বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার অভিযানে যা হচ্ছে, তা আমজনতার কাছে তামাশাই বটে! খাটের তলা, বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে মিলছে কোটি কোটি টাকা। শনিবারই গার্ডেনরিচের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। আটটি টাকা গোনার মেশিন এনে সেই টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। পাঁচটি ট্রাঙ্ক বোঝাই করে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বাড়ির কর্তা নিসার আহমেদ খান। তাঁর তিন ছেলে। ছোট ছেলের নাম আমির খান। এই আমিরের নামেই এক অনলাইন গেমিং প্রতারণার তদন্তে এদিন গার্ডেনরিচে অভিযান চালায় ইডি। এরপর একের পর এক চমকে দেওয়ার মত ঘটনা। গত কয়েকদিনে এই রাজ্যে তদন্তে নেমে ইডি, সিবিআই বা সিআইডি যে হারে নগদ টাকার খোঁজ পাচ্ছে, তাতে হতবাক রাজ্যের মানুষ। সূত্রের খবর, গত দেড় মাসে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে এ রাজ্য থেকে।

শুরুটা হয়েছিল গত ২২ জুলাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটি আবাসনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে। সেই রাতে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সবই ৫০০ আর ২ হাজার টাকার বান্ডিল। একটি বন্ধ ঘরে প্লাস্টিকের বান্ডিল করে রাখা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। বাংলায় প্রথম একসঙ্গে এত টাকা উদ্ধারের ছবি দেখে রাজ্যবাসী।

এরপর ২৭ জুলাই অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানেও থরে থরে সাজানো ছিল যকের ধন। বিছানা, আলমারি এমনকী বাথরুমের দেওয়ালেও লুকানো ছিল ৫০০, ২ হাজারের নোট। সেই টাকা গুনতে প্রথমে আনা হয় পাঁচটি টাকা গোনার মেশিন। এত টাকা দেখে পরে টাকা গোনার জন্য বড় মেশিন নিয়ে আসা হয়। রাত পার করে প্রায় ভোর ৪টে পর্যন্ত চলে টাকা গোনার কাজ। উদ্ধার হয় নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।

বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা

এরপর ৩০ জুলাই। সিআইডি অভিযানে হাওড়ার পাঁচলায় রানিহাটি মোড় থেকে উদ্ধার হয় বিপুল টাকা। গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৪৯ লক্ষের বেশি টাকা। এরপর ২ সেপ্টেম্বর। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় সিবিআই। চিটফান্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজুকে। তাঁকে নিয়েই তাঁর রাজারহাটের ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।

৪ সেপ্টেম্বর মালদহের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি। গাজোলের মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে সেদিনও টাকা গোনার মেশিন এনে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজ্যের তদন্তকারীরা। শুরু হয়েছিল ২১ কোটি দিয়ে। ফের কলকাতায় মিলল টাকার পাহাড়ের সন্ধান।