Attack on ED: সরকার ব্যর্থ হলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা, কড়া বার্তা রাজ্যপাল বোসের

C V Ananda Bose: শুক্রবার ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, "হিংসা বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

Attack on ED: সরকার ব্যর্থ হলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা, কড়া বার্তা রাজ্যপাল বোসের
সি ভি আনন্দ বোসImage Credit source: TV9 Bangla and PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2024 | 4:15 PM

কলকাতা: সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে তীব্র রোষানলের মধ্যে পড়েছেন ইডির অফিসাররা। হামলা হয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের উপর। মাথা ফেটেছে ইডি অফিসারদের। আক্রান্ত হয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। শুক্রবার ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “হিংসা বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সন্দেশখালিতে এদিন সকালে যে অনভিপ্রেত ও নজিরবিহীন হামলা হয়েছে ইডির উপর, তা ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন রাজ্যপাল বোস। এক ভিডিয়ো বার্তায় বাংলার সাংবিধানিক প্রধান বলেছেন, “একটি সভ্য সমাজের সরকারের দায়িত্ব এই বর্বরতা ও অশান্তি বন্ধ করা। যদি সরকার নিজের মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা হবে। রাজ্যপাল হিসেবে আমি আমার সবরকম সাংবিধানিক বিকল্প মাথায় রাখছি। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলার মানুষের সঙ্গে জঙ্গলরাজ করা যাবে না। বাংলা কোনও ব্যানানা রিপাবলিক নয়।”

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে যখনই বাংলার কোনও প্রান্তে অশান্তির খবর এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েতে নির্বাচনের সময়েও যেখান থেকে অভিযোগ পেয়েছেন, সেখানে ছুটে গিয়েছেন। এদিন ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল বলেন,”প্রাক নির্বাচনী হিংসা এখান থেকেই শুরু হল, এবং এখানেই এটা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। সমাজে অশান্তি হলে, তার দায় সরকারের। সরকারের উচিত চোখ খুলে দেখা।”

শুক্রবারের ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। শাসক শিবির আবার পাল্টা বিজেপিকেই দুষছে এই ঘটনার জন্য। তাদের বক্তব্য, বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে মানুষ ইডি-সিবিআই ও বিজেপিকে আলাদা করে দেখছে না।