TMC: ওয়ার্ড অফিসে তালা, বাইরে বসে ফিরহাদ-বাবুল; আবারও বালিগঞ্জে গোষ্ঠীকোন্দল?
Ballygunge: সোমবার বিধায়কের বার্তা পেয়ে ওয়ার্ড অফিসে একে একে উপস্থিত হন কাইজার জামিল, রাম বসু, সাম্মি জাহান, নিবেদিতা শর্মার মত কাউন্সিলররা।
কলকাতা: ফের বালিগঞ্জে তৃণমূলের (TMC) কোন্দলের অভিযোগ উঠল। দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়েছিল। জগদ্ধাত্রী পুজোয় তা বড় আকার নেয়। এলাকার কাউন্সিলর বনাম এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর মধ্যে এই কোন্দলের অভিযোগ যেন কিছুতেই যাচ্ছে না। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিস নিয়ে এবার দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। এমনও শোনা যাচ্ছে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। যদিও এই গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ যতবার উঠেছে, তা অস্বীকার করেছেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় ও কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্য়ায় । এবারও তার অন্যথা হয়নি। অন্যদিকে ফিরহাদের বালিগঞ্জে আসার বিষয়টিও একেবারে আড্ডার জন্য বলেই দাবি করা হচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড অফিসকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার কাউন্সিলরের অনুগামীদের অভিযোগ, তাঁদের ওয়ার্ড অফিস বহিরাগতদের নিয়ে এসে দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমনকী কাউন্সিলরের ছবি থেকে অন্যান্য সামগ্রী পর্যন্ত সরিয়ে ফেলা হয়েছে অন্যত্র বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে সোমবার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় তাঁর নিজের এলাকার বিধায়কদের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে ডেকে পাঠান। যা ঘিরে কোন্দল চরমে ওঠে।
সোমবার বিধায়কের বার্তা পেয়ে ওয়ার্ড অফিসে একে একে উপস্থিত হন কাইজার জামিল, রাম বসু, সাম্মি জাহান, নিবেদিতা শর্মার মত কাউন্সিলররা। কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন, এই ওয়ার্ড অফিসে তালা বন্ধ। তাঁরা গড়িয়াহাট ওভারব্রিজের তলায় বসে পড়েন। তাঁরা জানান, বাবুল সুপ্রিয় তাঁদের বালিগঞ্জ বিধানসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করে ডেকেছেন। কিন্তু কেন ডাকা হয়েছে, সে উত্তর নেই। তবে ফিরহাদ হাকিম আসবেন বলে জানতে পারেন তাঁরা।
ফিরহাদ হাকিম এদিন ওয়ার্ড অফিসের বাইরে পৌঁছনও। কিন্তু কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রীও এসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। ওয়ার্ড অফিসে তালা ঝোলায় বাইরে বেঞ্চ পেতে বসতে হয় তাঁকেও। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তবে এদিন শেষ অবধি ফিরহাদ আর ওয়ার্ড অফিসে ঢুকতে পারেননি। বাইরেই বসে থেকেই চলে যেতে হয় তাঁকে।
যদিও এই দলীয় কোন্দলের কথা মানতে চাননি এলাকার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর বক্তব্য, সেরকম কোনও বিষয়ই নয়। ওয়ার্ড অফিস নিয়ে কোনও দ্বন্দ্বও নয়। তাঁর বিধানসভা এলাকা এটা। মেয়র এই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই তাঁরা বসে একটু কথা বললেন, চা খেলেন। ফুলও দিলেন মেয়রকে।
বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, “এখানে আমার অফিস। টালা পার্ক থেকে ফেরার সময় আমার সঙ্গে আচমকাই আড্ডা মেরে যাবেন বলে মেয়র এসেছিলেন।” তবে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য়, “কাকুলিয়ার ওখানে আগুন লেগেছিল। আমি সেই আগুন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। কোনও কর্মসূচির খবর আমার কাছে ছিল না।”