ED: এবার ইডির দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির অঙ্কুর দাস, ১৩ পাতার অভিযোগে উত্তরবঙ্গের ‘রায়বাহাদুরের’ নাম

Jalpaiguri: অঙ্কুরের মুখে স্বাস্থ্যদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। তাঁর অভিযোগ, শুধু শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।

ED: এবার ইডির দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির অঙ্কুর দাস, ১৩ পাতার অভিযোগে উত্তরবঙ্গের 'রায়বাহাদুরের' নাম
অঙ্কুর দাস (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 5:25 PM

কলকাতা: ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানোয় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে এবার ইডির (ED) দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির অঙ্কুর দাস। জলপাইগুড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন ছেলে। সেই ছেলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অঙ্কুর। কিন্তু তারপর সেই অঙ্কুরকেই গ্রেফতার করা হয়। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অঙ্কুর। টিভি নাইন বাংলার সামনে তুলে ধরলেন নিজের বক্তব্যও। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন সমাজকর্মী অঙ্কুর দাস। ইডির দফতরে ১৩ পাতার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অঙ্কুরের মুখে স্বাস্থ্যদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। তাঁর অভিযোগ, শুধু শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এক্ষেত্রে এক ‘রায়বাহাদুরের’ কথা বলেন তিনি। যাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটির নামে-বেনামে সম্পত্তি আছে বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইডির প্রতি আলাদা ভরসা রয়েছে। যেভাবে বাকি তদন্ত চলছে, তাতে এ বিষয়েও কাজ হবে বলেই বলছেন তিনি।

অঙ্কুর দাস এদিন বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন বাগদার রঞ্জনের কথা শুনেছি, তেমনই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন রায় বাহাদুর আছেন, তিনি উত্তরবঙ্গে বসে গোটা রাজ্যের মধ্যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে দিচ্ছেন। নিয়োগ কিংবা বদলির ক্ষেত্রে ওনার একটা বড় ভূমিকা আছে।” শুধু এখানেই থামেননি অঙ্কুর। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তিনি।

অঙ্কুরের কথায়, ” কারও হয়ত বদলির সময়ও হয়নি টাকার বিনিময়ে তাও বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বারবার সংবাদমাধ্যমে দেখেছি টাকার মাধ্যমে বদলির অভিযোগ।” তবে এগুলো তো অঙ্কুরের মুখের কথা। কেন মানবে ইডি? অঙ্কুর দাস জানান, যা অভিযোগ তিনি তুলছেন, সিংহভাগ প্রমাণ হাতে নিয়েই বলছেন। শুধু তাই নয়, যাঁর দিকে অঙ্কুরের অভিযোগের আঙুল, তিনি এই মুহূর্তে নামে-বেনামে ১০০ কোটির মালিক বলেও দাবি করেছেন তিনি।

অঙ্কুর দাস বলেন, “আমি জলপাইগুড়ির মানুষ। তাই এখানকার কথাই যদি বলি, জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভাল ভাল যাঁরা ডাক্তার ছিলেন, নাম ধরে বলতে পারি তাঁরা চাপের মুখে সরে গিয়েছেন। ওই রায়বাহাদুরের কথা মতো চলেন না বলেই চাকরি ছাড়তে হয়েছে। যিনি জলপাইগুড়িতে ছিলেন, তাঁকে মালবাজারে পাঠানো হল। উনি অস্ত্রোপচার করেন। মালবাজার হাসপাতালে সে সময় ওটি নেই। তাহলে কোথায় অপারেশন করবেন? এভাবে ভাল ভাল ২২ জন ডাক্তার জলপাইগুড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হলেন।”