ED: এবার ইডির দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির অঙ্কুর দাস, ১৩ পাতার অভিযোগে উত্তরবঙ্গের ‘রায়বাহাদুরের’ নাম
Jalpaiguri: অঙ্কুরের মুখে স্বাস্থ্যদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। তাঁর অভিযোগ, শুধু শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।
অঙ্কুর দাস এদিন বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন বাগদার রঞ্জনের কথা শুনেছি, তেমনই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন রায় বাহাদুর আছেন, তিনি উত্তরবঙ্গে বসে গোটা রাজ্যের মধ্যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে দিচ্ছেন। নিয়োগ কিংবা বদলির ক্ষেত্রে ওনার একটা বড় ভূমিকা আছে।” শুধু এখানেই থামেননি অঙ্কুর। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তিনি।
অঙ্কুরের কথায়, ” কারও হয়ত বদলির সময়ও হয়নি টাকার বিনিময়ে তাও বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বারবার সংবাদমাধ্যমে দেখেছি টাকার মাধ্যমে বদলির অভিযোগ।” তবে এগুলো তো অঙ্কুরের মুখের কথা। কেন মানবে ইডি? অঙ্কুর দাস জানান, যা অভিযোগ তিনি তুলছেন, সিংহভাগ প্রমাণ হাতে নিয়েই বলছেন। শুধু তাই নয়, যাঁর দিকে অঙ্কুরের অভিযোগের আঙুল, তিনি এই মুহূর্তে নামে-বেনামে ১০০ কোটির মালিক বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অঙ্কুর দাস বলেন, “আমি জলপাইগুড়ির মানুষ। তাই এখানকার কথাই যদি বলি, জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভাল ভাল যাঁরা ডাক্তার ছিলেন, নাম ধরে বলতে পারি তাঁরা চাপের মুখে সরে গিয়েছেন। ওই রায়বাহাদুরের কথা মতো চলেন না বলেই চাকরি ছাড়তে হয়েছে। যিনি জলপাইগুড়িতে ছিলেন, তাঁকে মালবাজারে পাঠানো হল। উনি অস্ত্রোপচার করেন। মালবাজার হাসপাতালে সে সময় ওটি নেই। তাহলে কোথায় অপারেশন করবেন? এভাবে ভাল ভাল ২২ জন ডাক্তার জলপাইগুড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হলেন।”