Paresh Rawal: স্বস্তি পেলেন পরেশ, কড়া পদক্ষেপ না করার নির্দেশ বিচারপতির
Controversial Comment: গুজরাতে বিজেপির প্রচারে গিয়ে বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন পরেশ রাওয়াল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তালতলা থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরেশকে তলব করে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা: আদালতে স্বস্তি পেলেন বলিউড অভিনেতা ও বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ পরেশ রাওয়াল। আপাতত পরেশের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে কড়া পদক্ষেপ না করা হলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সে পরেশকে হাজির থাকার নির্দেশ বৃহস্পতিবার দিয়েছেন বিচারপতি। গুজরাতের এক জনসভায় বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল পরেশের বিরুদ্ধে। এর পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তালতলা থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরেশকে তলব করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সেই তলবে হাজিরা দেননি এই বলিউড অভিনেতা। সেই সমন থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরেশ। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
গুজরাতে বিজেপির প্রচারে গিয়ে বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন পরেশ রাওয়াল। প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?” পরেশের এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক ছড়ায়। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কথা তুললেও বাঙালির মাছ খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কটূক্তি ঘিরে অসন্তোষ তৈরিও হয়েছিল। অবশ্য পরেশ এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টে পরেশের হাজিরা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, “পরেশ ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। আর কী কিছু প্রয়োজন আছে?” পরেশের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “মামলাকারী গুজরাতি বোঝেন না। কী হিসেবে এই মন্তব্য সেটা কিভাবে বুঝলেন?” যদিও সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ভিডিয়ো কনফারেন্সে পরেশকে পুলিশি জেরা সামনে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আপাতত পরেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতেও বারণ করেন।