BC Roy Hospital: বি সি রায়ে থার্মোমিটার নেই? ভোর ৫টায় থার্মোমিটার কিনে আনতে বলার অভিযোগ রোগীর পরিজনের
BC Roy Hospital: শিশু হাসপাতালে ক্রমেই চাপ বাড়ছে রোগীর। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। শিশুমৃত্যুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে রোজই।
কলকাতা: জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শ’য়ে শ’য়ে শিশু ভর্তি বি সি রায় শিশু হাসপাতালে (BC Roy Hospital)। শয্যা, ভেন্টিলেটর-সহ সব ধরনের পরিকাঠামো পর্যাপ্ত রয়েছে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ তথা স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিরা। তবুও সামান্য থার্মোমিটারও কিনে আনতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। এমনই অভিযোগ উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা আলতাফ মল্লিকের। পাঁচ বছরের শিশুর বাবার অভিযোগ, বুধবার দুপুরে পাঁচ বছরের ছেলেকে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভর্তি করানোর পর আইসিইউ বেডের দরকার থাকলেও বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় আইসিইউ বেড পাওয়া যায়। অভিযোগ, এরপরই ওয়ার্ড থেকে আলতাফকে বলা হয়, থার্মোমিটার কিনে দিতে হবে। সাধারণ থার্মোমিটার হলে চলবে না। প্রয়োজন ডিজিটাল থার্মোমিটারের। বাবার প্রশ্ন, এত বড় হাসপাতালে একটা থার্মোমিটারও নেই?
শিশু হাসপাতালে ক্রমেই চাপ বাড়ছে রোগীর। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। শিশুমৃত্যুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে রোজই। আইসিইউয়ে বেডের চাপ বাড়ছে বলে জানান রোগীর আত্মীয়রা। উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা আলতাফ মল্লিক বলেন, “বুধবার ছেলেকে ১২টার সময় নিয়ে আসি। আজ ভোর ৫টায় বলল আপনার পেশেন্টকে আইসিইউয়ে ভর্তি করাতে হবে। তবে আগেও বলেছিল এটা। যদিও আইসিইউয়ের বেড খালি ছিল না।”
একইসঙ্গে আলতাফ মল্লিক বলেন, “ভোর ৫টায় আমাকে বলা হয় থার্মোমিটার কিনে আনতে। ন্যায্য মূল্য থেকে একটা থার্মোমিটার কিনেও আনি। বাইরে সব দোকানই অত ভোরে বন্ধ। তখন আবার বলছে এটা বাচ্চাদের জন্য ভাল নয়। বাচ্চারা ভেঙে ফেলতে পারে।” কেন এমন পরিস্থিতি হবে? কেনই বা হাসপাতালে একটা থার্মোমিটার পাওয়া যাবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয়রা। যদিও এ নিয়ে এখনও হাসপাতালের তরফে কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।