Recruitment Scam: ‘শিক্ষক নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেলেও তো ছাত্ররা প্রশ্ন তুলবে’, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে বিস্মিত বিচারপতি
Calcutta High Court: সেপ্টেম্বরের পর নভেম্বর। একই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট দেখে ফের বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।
কলকাতা: অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট দেখে রীতিমতো বিস্মিত বিচারপতি। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘এভাবে তো ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। নিজের যোগ্যতায়ও যদি কেউ চাকরি পায়, তাহলেও ছাত্ররা শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ’। শুক্রবার গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা করে সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
এবারই প্রথম নয়। এসএসসির-র গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় এর আগেও বিস্ময়-উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। গোটা হিমশৈল জলের নীচে রয়েছে। যা উঠে আসছে তা ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এনারা শিক্ষক! এই শিক্ষকেরা সমাজ গড়বেন? আগামী সময়ে ছাত্ররা প্রশ্ন করবে, আপনার কী যোগ্যতা? জানি না এর শেষ কোথায়। আদালত সব জঞ্জালকে আগে সরাবে। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। যাঁরা দোষী, তাঁদের সকলের চাকরি যাওয়া উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন আমিও তাতে সামিল হচ্ছি।’
সেপ্টেম্বরের পর নভেম্বর। একই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট দেখে ফের বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। একই সঙ্গে বিচারপতির একের পর এক কড়া মন্তব্যে একটা বিষয় জলের মতোই পরিষ্কার। শাস্তির খাড়া থেকে রেহাই পাবে না দুর্নীতিবাজরা।