CV Ananda Bose Exclusive: ‘অতীতে যা ছিল, আজ নাও থাকতে পারে’, ধনখড়ের আমল প্রসঙ্গে নতুন রাজ্যপাল
CV Ananda Bose: সিভি আনন্দ বোস বলেন, "একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব আসতে বাধ্য। মতের পার্থক্য, ভাবনার পার্থক্য গণতন্ত্রের দুর্বলতা নয়, গণতন্ত্রের দৃঢ়তাকেই প্রমাণ করে।"
অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্য়ায়
পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন লা গণেশন। ধনখড়ের আমলে বার বার প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের মতবিরোধ উঠে এসেছে। নতুন রাজ্যপাল হিসেবে বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন সিভি আনন্দ বোস? টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমার কাজে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে করি না। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব আসতে বাধ্য। মতের পার্থক্য, ভাবনার পার্থক্য গণতন্ত্রের দুর্বলতা নয়, গণতন্ত্রের দৃঢ়তাকেই প্রমাণ করে। আমি মনে করি না, এমন কোনও সমস্যা আছে যা ভারতীয় সংবিধানের পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে সমাধান করা যায় না।”
জগদীপ ধনখড় যখন অতীতে রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, তখন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। টুইটারে বার বার এই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন রাজ্যপাল কীভাবে দেখছেন বিষয়টি? সিভি আনন্দ বোস বলছেন, “আমি পরিস্থিতি দেখে একটি বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করব। রাজ্যপালের দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা। আইনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের নিজস্ব মূল্যায়ন থাকে। পরিস্থিতি সবসময় একরকম থাকে না, পরিবর্তন হয়। অতীতে যা ছিল, আজ তা নাও থাকতে পারে এবং ভবিষ্যতেও তা বদল হতে পারে। আমি এটিকে একটি বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিতে দেখব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব।”
উল্লেখ্য, জগদীপ ধনখড়ের আমলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের ইস্য়ুটি একটি নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রায় প্রতিদিন টুইটারে রাজ্যের কোনও না কোনও ইস্যু নিয়ে সরব হতেন তৎকালীন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্য়ুতে সরব হতেন। এখন নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্ন তথা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক কেমন থাকে, সেই দিকেই নজর রাখছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।