Kuntal Ghosh: ১০ কোটির বেশি টাকা তোলা হয়েছে, সিবিআইয়ের চার্জশিটে কুন্তলের নাম
ED: ইতিমধ্যেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাদের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল ঘোষ টাকা নিতেন।
কলকাতা: একদিকে হাইকোর্টে যখন কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) অস্বস্তি, তখন বিড়ম্বনা বাড়ল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতেও। বৃহস্পতিবার কার্যত দুই আদালতে সাঁড়াশি চাপে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এক সময়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এদিন কুন্তল ঘোষের নামে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চার্জশিট জমা পড়ে এদিন। চার্জশিটে কুন্তল ছাড়াও তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের নাম রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ১০ কোটিরও বেশি টাকা তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিয়েই এদিন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে জমা পড়ল এই চার্জশিট।
কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই তিনজনের হাত ধরে চাকরি বিক্রির রমরমা কারবার চলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে কুন্তল ঘোষের ভূমিকার বিশেষ উল্লেখ এই চার্জশিটে রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাদের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল ঘোষ টাকা নিতেন। চাকরির নামে অগ্রিম হিসাবে কুন্তল টাকা তুলতেন বলেও ইডির চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ইডি তার চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, কুন্তল ঘোষ প্রাথমিক শিক্ষক, গ্রুপ ডি কর্মী, ক্লার্ক- এমন একাধিক সরকারি পদে চাকরির নামে টাকা তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্ট কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিম্ন আদালতে এ নিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। হেস্টিংস থানা অবধি গিয়েছিল অভিযোগপত্র। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সে মামলার শুনানি হয়। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা, এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এরপরই সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম নির্দেশে এই মামলার এজলাস বদল হয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায়। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি বা সিবিআই। একইসঙ্গে অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।