Egra Blast: এগরায় ঘুম ছুটিয়েছে পুলিশের, গত ২৪ ঘণ্টায় খোঁজ মিলল ভূরি ভূরি বারুদের স্তূপের
Egra Blast: বীরভূমের নলহাটিতেও অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল নলহাটি থানার পুলিশ। আটক এক ব্যক্তি। অভিযান চলল হুগলিতেও।
কলকাতা: এগরা বিস্ফোরণের (Egra Blast Case) পর থেকেই তা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি কারখানার হদিশ পেতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। হুগলি (Hooghly) থেকে বীরভূম (Birbhum), বারাসত থেকে নৈহাটি, তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সর্বত্রই। হুগলির চন্ডীতলা থানার বেগমপুর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি ও মশলা। হুগলি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার চন্ডীতলা থানার বেগমপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি ও বাজি তৈরির মশলা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৫ জন বাজি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এদিন তাঁদের শ্রীরামপুর কোর্টে তোলা হয়।
অন্যদিকে বীরভূমের নলহাটিতেও অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল নলহাটি থানার পুলিশ। আটক এক ব্যক্তি। এদিন নলহাটি থানার ওসি মনোজ সিংয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নলহাটির বাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায়। বেশ কয়েকটি দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে। অবৈধভাবে বাজি মজুত রাখার কারণে পাপ্পু প্রসাদ নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
বেআইনি বাজি কারখানায় বারুদ মজুত রাখার কারণে বারাসতেও গ্রেফতার এক। বুধবার বিকাল থেকে বারাসাত ও দত্ত পুকুর থানার পুলিশ শুরু করে তল্লাশি অভিযান। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বাজি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বারাসত ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন আরিফবাড়ি ও টালিখোলা এলাকায় কয়েকটি জায়গায় হানা দেয়। উদ্ধার করে ৫০০ কেজি বাজি। তবে পুলিশের তল্লাশির আগেই পালিয়ে যায় মালিক। মধ্যরাতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে গীতাবুল শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এগরায় বিস্ফোরণের পর সতর্ক ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটও। রাতভোর তল্লাশি চালিয়ে শিবদাস থানার পুলিশ বেআইনি ৪৫ কেজি বারুদ এবং বাজি তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। গ্রেফতার কর মহম্মদ আরাফত নামে এক বাজি ব্যবসায়ী।