Mamata Banerjee: ‘যতক্ষণ সুস্থ থাকব, সেটাই আমার বয়স’, নেগেটিভ ভাবনাকে ঠাঁই না দেওয়ার বার্তা মমতার
Mamata Banerjee: মমতার কথায়, কখনওই কারও ভাবা উচিত নয়, কেউ বিছানায় বসে গিয়েছেন, ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না। এই ধরনের নেগেটিভ চিন্তা মানুষকে আরও অসুস্থ করে দেয়।
কলকাতা: রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তিনি। স্বভাবতই দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা তাঁর থাকেই। একইসঙ্গে দলের সুপ্রিমো হিসাবেও প্রায় সারা বছরই জেলায় জেলায় দলীয় কর্মসূচি থাকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। নির্বাচনের সময় তিনি যেভাবে ব্যাক টু ব্যাক সভা করেন, তা রীতিমতো চর্চিত হয়। মমতা নিজেই বলেন, খুব একটা ভাত তিনি খান না। বদলে মুড়িতেই ভরসা রাখেন। সঙ্গে ট্রেড মিলে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি। পাহাড় হোক বা সমতল, জেলা সফরে গিয়ে মাইলের পর মাইল অনায়াসে হেঁটে ফেলেন মমতা। সেই মমতাই সোমবার বার্তা দিলেন, সুস্থ থাকুন। সুস্থতাই বয়সের মাপকাঠি। বুঝিয়ে দিলেন, বয়সটা শুধুই নম্বর। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি যতক্ষণ সুস্থ থাকব, সেটাই আমার বয়স। সুস্থতা মানুষকে কাজ করতে শেখায়।”
মমতা বলেন, “আমরা একটু কুঁড়ে হয়ে গিয়েছি। মনে রাখবেন, কত বছর বয়স হল সেটা ভাবার দরকার নেই। প্রতিদিন একটা করে দিন তো পেরোবেই। আমাদের অর্ধেক দিন তো ঘুমিয়েই চলে যায়। যতক্ষণ সুস্থ থাকবেন, সুস্থতাই আপনার বয়স। অন্য কিছু নয়। যতক্ষণ সুস্থ থাকবেন, হেঁটে চলবেন, সেটাই বড়। রোজ সকালে উঠে বলেন, আমরা কত বয়স হল। এটা একটা রোগ। কাজ করবে না, ফাঁকি দেবে বলে এটা আগে ভেবে নেয়। আমি এটার বিরুদ্ধে।”
মমতার কথায়, কখনওই কারও ভাবা উচিত নয়, কেউ বিছানায় বসে গিয়েছেন, ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না। এই ধরনের নেগেটিভ চিন্তা মানুষকে আরও অসুস্থ করে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিজেই নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, “আগেকার দিনের লোকের সার্টিফিকেট ছিল না। ৫০কে ৭০ বলে দিত। এখন তো তা নয়। আমাদের একটা ক্যালেন্ডার ইয়ার আছে, আমাদের একটা নিজস্ব জন্মদিন আছে। অনেকেরই আছে। আমারও আছে। আমি কী করতে পারি? যার জন্য আমাকে কেউ অভিনন্দন জানালে কোনও রেসপন্স করি না ওইদিন। আমার কিছু করার নেই। ওটা তো ক্যালেন্ডার ইয়ার। বাবা মা দিয়ে গিয়েছে, আমার কিছু করার নেই। এমনকী আমি একটা বইয়ে লিখেও দিয়েছি, যে আমার দাদা সার্টিফিকেটে আমার থেকে ৬ মাসের ছোট না বড় যেন। তাই দেখে দাদা আমাকে গল্পটা বলল। আমরা যারা বাড়িতে জন্মেছি তাদের ক্ষেত্রে এরকম হয়। অথচ দাদা আমার থেকে ৫ বছরের বড়। কিন্তু সার্টিফিকেটে আমি ৬ মাসের ছোট না বড় যেন।”