Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh: ‘ইংরেজরা বন্দে মাতরম বন্ধ করেছিল সার্কুলার জারি করে…’, জয় শ্রীরাম স্লোগান ইস্যুতে বললেন দিলীপ

Dilip Ghosh: শুক্রবার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছনোর পর দর্শক আসন থেকে এই রব ওঠে।

Dilip Ghosh: 'ইংরেজরা বন্দে মাতরম বন্ধ করেছিল সার্কুলার জারি করে...', জয় শ্রীরাম স্লোগান ইস্যুতে বললেন দিলীপ
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2022 | 4:06 PM

কলকাতা: ‘বন্দে ভারত’ (Vande Bharat) এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়। যার জেরে অনুষ্ঠান মঞ্চেই উঠতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। গোটা অনুষ্ঠানে মঞ্চের নীচে বসেছিলেন তিনি। কেন সরকারি অনুষ্ঠানে এমন স্লোগান দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন শাসকদলের। পাল্টা বিজেপির দাবি, এটা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দে মাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?” একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের দেশে বন্দে মাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধা নেই। উনি ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রেগুলার জয় বাংলা বলছে। আমরা কি ক্ষেপে যাই? যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাস করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন।”

দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এর আগে ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করতে শুরু করল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানেও জয় শ্রীরাম। রাম মানে শুধু বিজেপি এমন নয়, রাম তো সকলের। কিন্তু দিলীপদাদের যদি সর্বক্ষণ জয় শ্রীরাম বলার হয়, তাহলে দৈনন্দিন জীবনে সব কাজ করার আগেই জয় শ্রীরাম বলুন না।”

শুক্রবার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছনোর পর দর্শক আসন থেকে এই রব ওঠে। এরপর আর অনুষ্ঠানমঞ্চেই ওঠেননি মমতা। রেলের আধিকারিকরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে মুখ্যমন্ত্রী আর মঞ্চে ওঠেননি। মঞ্চের বাঁদিকে একটি চেয়ারে বসেন তিনি। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেন। মঞ্চের নিচে দাঁড়িয়েই সবুজ পতাকা নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনাও করেন।