করোনা কাঁটা দূরে সরিয়ে চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) যেন ফিরেছিল পুরনো উৎসবের আমেজ। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর বিশেষ স্বীকৃতি ( UNESCO recognition)। তারই ছটায় এবারে মূল পুজোর একমাস আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল উৎসবের (Festival) আমেজ।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইউনেস্কোর ইনট্যানজেবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল কলকাতার দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত ইন্টার-গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬ তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল।
তারপর এবারেই ছিল প্রথম দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোকে পাল্টা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য ১ সেপ্টেম্বর শহরে এক বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণপত্র পাঠায় রাজ্য। ইউনেস্কোর ভারত-ভূটান-মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কার ডিরেক্টর এরিক ফল্টকে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর তরফে। শোভাযাত্রা অংশও নেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা।
কলকাতার পাশাপাশি শোভাযাত্রার চলে জেলাগুলিতেও। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভের পর অভিনন্দন জানানোর জন্য কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, শিলিগুড়ি থেকে কাঁথি, সর্বত্রই দেখা যায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
দশমী শেষে রেড রোডের কার্নিভালেও বড় চমক রেখেছিল রাজ্য সরকার। প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রেড রোডে চলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। সাঁওতাল নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের সেলেবরাও। পুজোর কার্নিভালে অংশ নেয় শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ৯৪টি পুজো কমিটি।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবারে সেই অনুদানের পরিমাণ বেড়ে হয়ে গিয়েছিল ৬০ হাজার টাকা। রাজ্যের ৪০ হাজারের বেশি ক্লাব এই সরকারের অনুদান পায়।