Ayan Shil: প্রোমোটারের বাড়িতে OMR Sheet, ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেন?
ED: ইডির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছুক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে।
কলকাতা: তল্লাশির ৩০ ঘণ্টা পার। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা বেজে গিয়েছে। এখনও সল্টলেকের এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। এই বাড়ি শান্তনুর অন্যতম ‘দোসর’ অয়ন শীলের (Ayan Shil)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যাঁর ভূমিকা চোখ ছানাবড়া করার জন্য যথেষ্ট বলেই ইডি সূত্রে খবর। সল্টলেকে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ অয়নের ঠিকানা থেকে ওএমআর শিট, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা, অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি প্রচুর টাকার লেনদেনের নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি সূত্রের। কম্পিউটার ও কাগজের টুকরো থেকে এই লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছুক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কেন তাঁর বাড়িতে ওএমআর শিট রাখা, এ প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অয়ন শীল। অয়ন শীলের বিরুদ্ধে কোন পথে হাঁটবে ইডি, তা সময়ের অপেক্ষা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই শান্তনু হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তৃণমূলের যুবনেতাও ছিলেন এতদিন। এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। সেই শান্তনুর বাড়ি, ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়িতে গত শনিবার হানা দেন ইডির দল। সেই অভিযানেই উঠে আসে অয়ন শীল নামে এক প্রোমোটারের নাম। যিনি শান্তনু ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে খবর।
হুগলির চুঁচুড়ায় জগুদাসপাড়ায় শান্তনুর যে ফ্ল্যাট, সেই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার ছিলেন অয়ন শীল। সল্টলেকেও রয়েছে ঠিকানা। এরপরই ইডির তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। সূত্রের খবর, অয়ন ও তাঁর স্ত্রী একটি কোম্পানির ডিরেক্টর। সল্টলেকের বাড়িটি বছর তিনেক আগে ভাড়া নেন। শনিবার দুপুরে ইডি চুঁচুড়ায় তল্লাশি চালানোর সময় তাঁকে ডাকে।
সেখানে যান তিনি। এরপর ইডি অয়নকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকে ফেরে। শনিবার রাতের ঘটনা। প্রায় সাড়ে ১১টা তখন। এরপর থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ইডির হাতে প্রচুর নথি উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমে বেশ কিছু ডিজিটাল ডকুমেন্টস ইডির হাতে আসে, যার অ্যাকসেস পাচ্ছিলেন না ইডি কর্তারা। এরপরই অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। রবিবার রাত গড়ালেও তল্লাশি চলছে। এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িটি নিয়োগ দুর্নীতিরকাণ্ডের অন্যতম তথ্যভাণ্ডার বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।