Fire Audit KMC: শহরে পরপর অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার অডিটের বৈঠক শেষে কড়া পদক্ষেপের পথে পুরনিগম
KMC: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যারা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখছে না, তাদের সতর্ক করা হবে। তাতে কাজ না হলে আইনি পথে হাঁটবে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: কলকাতা শহরে প্রায় সাড়ে ৬০০ ব্যবসায়ী সংস্থার কাছে অগ্নিনির্বাপণের বৈধ কাগজপত্র নেই বলে দাবি দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর। শুক্রবার ফায়ার অডিট বৈঠক ছিল কলকাতা পুরনিগমে। সেখানেই এই কথা জানান দমকলমন্ত্রী। তিনি জানান, সকলকেই প্রথমে সতর্ক করতে নোটিস পাঠানো হবে। তাতেও কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরে পরপর আগুন লাগার ঘটনার আবহে নিঃসন্দেহে এদিনের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতা শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল দমকল বিভাগ। কলকাতা পুরনিগমে ফায়ার অডিটের বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হেডকোয়ার্টার শুভঙ্কর সিনহা সরকার, ডিজি ফায়ার রণবীর কুমার।
এদিনের বৈঠকের পরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ, দমকল ও পুরনিগম যৌথভাবে ফায়ার অডিট করেছে কলকাতা শহরজুড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে, শহরে প্রায় সাড়ে ৬০০ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের অগ্নিনির্বাপণের যথাযথ পরিকাঠামো নেই। নেই বৈধ কাগজও। নোটিস যাচ্ছে তাদের কাছে। নোটিস পেয়ে যদি কাগজপত্র তৈরি করে নেয়, তাহলে রক্ষা। না হলে আইনের পথে হাঁটবে দফতর।
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দমকল ও কলকাতা পুরনিগম যৌথভাবে অগ্নি নির্বাপণের ড্রিল করবে। মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের ১৩ মার্চ কলকাতা পুরনিগম, কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগকে একসঙ্গে ফায়ার অডিটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, “আমরা চাই না কোনও ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাক। ব্যবসার জন্য কোনও মানুষের জীবনহানি হোক সেটাও তো কখনওই কাম্য নয়। এর জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে প্রথমে নোটিস দেওয়া হবে।”