Patuli Fire: সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক জ্বলছে দাউ দাউ করে, উৎসবের কলকাতায় ভয়াবহ-কাণ্ড
Kolkata: এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
কলকাতা: ভয়াবহ আগুন পাটুলিতে (Patuli)। পাটুলির বৈষ্ণবঘাটায় গ্যাসের গোডাউনের কাছে আগুন লাগে শনিবার। সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাকে এই আগুন লাগে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রাক। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন এলাকার লোকজন। যেহেতু গ্যাসের সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাকে আগুন, প্রমাদ গুনতে থাকেন এলাকার লোকজন। আপাতত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। দমকল দ্রুততার সঙ্গে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, যে ট্রাকে আগুন লাগে, তাতে ১৭২টি এলপিজি সিলিন্ডার ছিল। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও হতাহতের খবর নেই।
তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। ট্রাকের সামনের দিকে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রথমে তুবড়ে যেতে শুরু করে সিলিন্ডার। যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারত। যদিও দমকলের তৎপরতায় সেই বিপদ টলানো যায়। দমকলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৭২টি সিলিন্ডার ছিল ট্রাকে। সবক’টি গ্যাস ভর্তি ছিল। ট্রাকে লোডিং আনলোডিং চলছিল। সেই সময় আচমকা এই ঘটনা।
কীভাবে এই আগুন লাগল তা তদন্তসাপেক্ষ বলেই মনে করছে দমকল। তবে অনুমান, গাড়িতে শর্টসার্কিটের কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে এই ঘটনার পর বাইপাস থেকে পাটুলিগামী রাস্তাটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ চলছিল।
এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, প্রতিদিন লোডিং-আনলোডিং এর জন্য গাড়ি থামিয়ে এখানেই গ্যাস জ্বালিয়ে রান্না করতেন চালক ও খালাসিরা। এদিনও রান্না করার সময় কোনওভাবে গ্যাস লিক করে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁদের। অন্য কোনওভাবেই আগুন ছড়াতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। চালক-খালাসির সঙ্গে কথা বলছে পাটুলি থানার পুলিশ।
১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজকুমার মণ্ডলের কথায়, “ডিলারের গ্যাস গোডাউন থাকে। এনাদেরও নিশ্চয়ই আছে। গ্যাস গোডাউন থেকে ডেলিভারি হওয়ার কথা। সেটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনেই হওয়ার কথা। রাস্তার ধারে বছরের পর বছর এই কাজ করছে। কোনও সিলিন্ডার ফাটেনি, এটাই ভগবানের কৃপা।” প্রশ্ন উঠছে, কাউন্সিলরের প্রতিবাদের পরও কাজ হয়নি? কাউন্সিলরের বক্তব্য, “আমি আগেও ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা বন্ধের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। জানি না কোথায় কোন প্রভাবে এতদিন ধরে এভাবে চলছে। প্রশাসনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে এবার আমি নিজে দেখে নেব, এখানে যাতে কোনও গাড়ি না দাঁড়ায়। লোডিং-আনলোডিং না হয়।”