PM Narendra Modi: নজরে করোনা পরিস্থিতি, বছর শেষে ডুমুরজলায় জনসভা করবেন না নরেন্দ্র মোদী
PM Narendra Modi: সরকারি কর্মসূচিতে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভায় থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনাও করবেন তিনি।
কলকাতা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভা রয়েছে কলকাতায়। সেই সভায় থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের পরিকল্পনা ছিল হাওড়ার ডুমুরজলায় প্রধানমন্ত্রীর একটি জনসভা আয়োজনের। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “ডুমুরজলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে উনি সভা করবেন না।” চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, হংকং, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে কোভিড মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে চিন্তা বাড়ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিরও। এর বাইরে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক বৈঠক করেছে। রাজ্যগুলির জন্য তৈরি করা হয়েছে নির্দেশিকা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিরেছে মাস্ক। এসবের মধ্যেই রাজনৈতিক কার্যকলাপেও রাশ টানা শুরু হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিজেপির অন্দরের খবর, কোভিড পরিস্থিতির কারণে বাংলায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি কর্মসূচিতে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভায় থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনাও করবেন তিনি। বছর শেষে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসছেন, তাই বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বার্তা পাঠানো হয়েছিল একটি জনসভা করার জন্য।
নতুন বছরে রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভাকে সামনে রেখে সেই ভোটেরই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বঙ্গ বিজেপির। তবে বর্তমানে বিশ্বে করোনার যা চিত্র, তা খেয়াল রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই জনসভার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তেমনটাই জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল।
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, নিচুতলায় কর্মীর অভাবের কারণে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে আইনি বিষয়ে বিশেষ জোর দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। কেন হঠাৎ এমনটা জল্পনা? বিজেপির অন্দরে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে মূল সমন্বয় কমিটির পাশাপাশি আরও কিছু বিভাগ গঠন করা হয়েছে। সেখানে সবচেয়ে বেশি সদস্য রাখা হয়েছে আইনি বিভাগে। আইনি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ৬ জন আইনজাবী। লিগ্যাল ইনচার্জ করা হয়েছে আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত কমিটিতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ ও দলের রাজ্য নেতা অভিজিৎ দাসকে। পাশাপাশি অর্থসংক্রান্ত বিভাগে ইনচার্জ রয়েছেন আশিস বাপাট, অন্যতম কো-ইনচার্জ রয়েছেন রাজ্য নেতা দেবাঞ্জল চট্টোপাধ্যায়।