Golpark Fire: গোলপার্কের বহুতলে আগুন, বাড়িতে থাকেন না কেউ, আতঙ্কে ছুটোছুটি এলাকাবাসীর
Fire: এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় বাড়িটি পড়ে আছে। এ নিয়ে বাড়ির মালিক কিংবা পুরনিগম কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই।
কলকাতা: ফের শহরে আগুন (Fire)। সোমবার ট্যাংরার প্লাস্টিক গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার সাত সকালে গোলপার্কের (Golpark) একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন লাগে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে বলে দমকল সূত্রে খবর। আগুনের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, বাড়িটিতে এখন কেউ থাকেন না। স্থানীয় বাসিন্দারাই এদিন সকালে দেখেন, ওই বাড়ি থেকে আগুন বের হচ্ছে। তাঁরাই খবর দেন দমকলে। খবর দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও। তিনতলা ওই বাড়ির আশেপাশে প্রচুর বাড়ি রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দ্রুত।
এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় বাড়িটি পড়ে আছে। এ নিয়ে বাড়ির মালিক কিংবা পুরনিগম কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। এলাকার লোকজন জানান, তাঁদের তৎপরতায় এদিন বড় বিপদ টলানো গেল। তবে এই আগুন যদি সকালে না লেগে মাঝ রাতে লাগল, তা হলে কী হতো, প্রশ্ন স্থানীয়দের। কী থেকে এই আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে দমকল বিভাগ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি পাশের বাড়িতেই থাকি। সকালে বাড়ির বাইরে পেপার নিতে এসেছিলাম। হঠাৎ দেখি ধোঁয়া আর কেমন একটা গন্ধ। দেখি কর্পোরেশনের লোকজন এখানে ঝাড় দিচ্ছে। এখানে খুবই আবর্জনা পড়ে থাকে। অনেকবার বলেও লাভ হয়নি। আমি ভাবলাম ওরাই হয়ত দাহ্য জিনিসে আগুন লাগিয়েছে। তারপর দেখি ভালই হলকা আসছে। তারপর দেখি পাশের বাড়িতে আগুন। দমকলে ফোন করি। কিন্তু ফোন না পেয়ে থানায় খবর দিই। ওরা ঠিকানা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে, দমকলও ততক্ষণে চলে এসেছে। তিনটে ইঞ্জিন এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।”
স্থানীয়রা জানান, এই বাড়িতে যিনি থাকতেন বছর দেড়েক হল তিনি মারা গিয়েছেন। একেবারে একা থাকতেন তিনি। পাঁচদিন ধরে তিনি ঘরে মরে পড়েছিলেন। গন্ধ পেয়ে পাশের বাড়ি থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়। দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার হয়।