Kolkata Medical College: টানা অনশন-আন্দোলন মেডিক্যালে, রফাসূত্র খুঁজতে আজ স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক পড়ুয়াদের
Kolkata Medical College: সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাতেও বরফ গলেনি।
কলকাতা: মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) হাসপাতালের আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের ভবিষ্যৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। পাঁচ ছাত্র আমরণ অনশনেও বসেন। যাঁদের মধ্যে এক ছাত্রের শারীরিক অবস্থা ইতিমধ্যেই অবনতি হয়েছে। তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। এসবের মধ্যে আগে থেকে ঘোষিত অনশনকারীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠক ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হল মঙ্গলবার।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাতেও বরফ গলেনি। এরপরই স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠক ঘিরে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। মন্ত্রীর অনুরোধে কাজ না হওয়ার পরে সচিব স্তরের বৈঠকে সমাধান সূত্র বার হওয়ার প্রশ্নে সন্দিহান স্বাস্থ্য ভবন। সেই প্রশ্নেই অনিশ্চিত হয়ে গেল বৈঠক। তাতে আবার নতুন করে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার প্রমাদ গুনছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সোমবারই আধ ঘণ্টার বেশি সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অধ্যক্ষের সঙ্গেও বৈঠক হয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর। তবে ২২ তারিখ ভোট যে কোনওভাবেই হচ্ছে না সে কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক আমরাও চাই। পাঁচ অনশনকারীর সঙ্গে কথা বললাম। ওদের কাছে অনুরোধ করেছি অনশন প্রত্যাহারের। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবেই। তবে এখন অনেকগুলি পরীক্ষা চলছে। তাই এখনই করা যাচ্ছে না। আলোচনা করে কবে ভোট হবে সেটা বলা হবে। তবে শরীর খারাপ করে আন্দোলনের কোনও অর্থ হয় না। ওরা ওদের অবস্থানে অনড়। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন সম্ভব নয়।”
চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা বলেন, “নোটিস দেওয়া হয়েছে ৫৫ জন কলেজ কাউন্সিল সদস্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২ তারিখ ভোট হবে। তারপর কার অঙ্গুলিহেলনে সেই দিনটা পিছিয়ে গেল, তা কেউ বলছে না। অথচ একটা কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের জন্য ডিএইচএস, ডিএমই, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রী সবাই এসে ঘুরে যাচ্ছেন। কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তা হলে তাঁদের এই পদগুলিতে বসিয়ে রাখার মানে কী? কেনই বা কলেজ কাউন্সিল, কেনই বা তাঁরা পদে বসে আছেন?”