Kunal Ghosh: ‘মমতা জানতেন না’, আবারও ‘পার্কিং-ফি’ বিতর্কে কুণাল-ফিরহাদ দ্বৈরথ

Firhad Hakim: কুণালের এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিমের দাবি, এটা নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে করা হয়নি। এটা বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের তরফে করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।

Kunal Ghosh: 'মমতা জানতেন না', আবারও 'পার্কিং-ফি' বিতর্কে কুণাল-ফিরহাদ দ্বৈরথ
কুণাল ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2023 | 3:29 PM

কলকাতা: আবারও পার্কিং-বিতর্ক। কলকাতা পুরনিগমের (KMC) পর এবার বিধাননগর পুরনিগম (BMC)। নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ (NKDA) অঞ্চলের পার্কিং ফি বিতর্ক। কলকাতা পুরনিগমের মতোই এই পার্কিং ফি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই টুইটকে সামনে রেখে নতুন করে জল্পনা, তাহলে কি আবার ফিরহাদ-কুণাল তরজার পরিস্থিতি তৈরি হল। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল, কলকাতা পুর এলাকায় পার্কিং ফি নিয়ে। কারণ, এনকেডিএ ফিরহাদ হাকিমের দফতর।

কুণাল বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, এনকেডিএ বাজার চত্বরে এই ‘ট্রাফিক ফাইন’ সংক্রান্ত বিষয় জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী। টুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘নিউটাউনের বাজারে ট্রাফিক ফাইন 500 টাকা যেটি এনকেডিএ চালু করেছিল, তা আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও জনবিরোধী। @MamataOfficial এটি জানতেন না। মানুষের হয়রানির কথা জানতে পেরেই তাঁর নির্দেশ, এই ফাইনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বাতিল হল। পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’ যদিও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, এই ফি চালু করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। এ ব্যাপারে এনকেডিএ-র কোনও সম্পর্ক নেই।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওটা ট্রাফিক পুলিশ করেছে। চালান যে কেটেছে, ওটা ট্রাফিক পুলিশ কেটেছে। এনকেডিএ কাটেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছি।” তবে প্রশ্ন উঠছে, এনকেডিএর সঙ্গে এই ফি-র কোনও সম্পর্ক না থাকলেও কুণাল কেন তাঁর টুইটে এনকেডিএর নাম উল্লেখ করলেন? শুধু কি বাজারের পরিচিতি ব্যক্ত করতেই? প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কলকাতা পুরনিগমের বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কুণাল ঘোষের একটা রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয়। সেই চাপানউতর ঘিরে শাসকদলের অন্দরে কার্যত অস্বস্তির আবহ তৈরি হয়। একই পরিস্থিতি আবার। এ প্রসঙ্গে এনকেডিএর চেয়ারম্য়ান দেবাশিস সেনের অবশ্য বক্তব্য, “এটা এনকেডিএর ব্যাপার না, এটা ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপার।”