Dumdum: ‘ছেলেটা বলছে এটা ওর বাচ্চা নয়’, নাগেরবাজারে পাঁচ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু তরুণীর, স্থানীয়দের বক্তব্যে পরতে পরতে রহস্য

Dumdum: জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে আমবাগানের ফ্ল্যাটে আসেন তিতাস ও তাঁর স্বামী কৌস্তুভ।

Dumdum: 'ছেলেটা বলছে এটা ওর বাচ্চা নয়', নাগেরবাজারে পাঁচ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু তরুণীর, স্থানীয়দের বক্তব্যে পরতে পরতে রহস্য
তিতাস নন্দী ও কৌস্তুভ সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 3:25 PM

কলকাতা: এক তরুণীর রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার করা হল তাঁর স্বামীকে। বাগুইআটি আমবাগান এলাকার ঘটনা। প্রতিবেশীদের দাবি, পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তরুণীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম তিতাস নন্দী (২৮)। স্বামীর নাম কৌস্তুভ সরকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিতাস। এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও নাকি প্রশ্ন তোলেন কৌস্তুভ, দাবি এলাকার লোকজনের। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বামী। এদিকে তিতাসের মাসির দাবি, তাঁদের মেয়েকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন কৌস্তুভ। সমস্তটাই রহস্যের জালে মোড়া। তবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই ঘটনা বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে আমবাগানের ফ্ল্যাটে আসেন তিতাস ও তাঁর স্বামী কৌস্তুভ। তাঁরা সামাজিকভাবে বিয়ে করেননি এখনও। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে তাঁদের। তিতাসরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেই ফ্ল্যাটেই থাকেন তিতাসের মাসি। তাঁর অভিযোগ, তিতাস এমনিতেই খুব একরোখা। তাই ভাগ্নি ও ভাগ্নি জামাইয়ের মধ্যে প্রায় প্রায় ঝামেলার আঁচ পেয়েও কিছু বলতেন না তাঁরা। যে ফ্ল্যাটের ঘটনা, সেটি পাঁচতলা। তিতাস-কৌস্তুভ এক তলায় থাকতেন।

তিতাসের মাসি রঞ্জিতা চৌধুরী বলেন, “শুক্রবার সকাল থেকে ঝগড়া, অশান্তি, মারামারি চলছিল। আমার দিদির মেয়ে খুবই একরোখা। ওর ব্যাপারে কেউ থাকুক সেটা ও চায় না। গৌরীবাড়িতে বাড়ি সেখানে ছিল সারাদিন। দুপুরে এল, এসে আবার চেঁচামেচি,ঝগড়া, মারপিট। সন্ধ্যাবেলা সাড়ে ৮টা ৯টা নাগাদ আমি ছেলেকে পড়িয়ে নিয়ে ফিরে শুনি চেঁচামেচি চলছেই। সাড়ে ৯টা, ১০টার সময় কেউ একজন ছাদে গেছে বুঝলামও। কিছুক্ষণের মধ্যেই কৌস্তুভ সরকার, মানে যার সঙ্গে ওর রেজিস্ট্রি হয়েছে, ছেলেটা ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। আমরা নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ জানাই। কৌস্তুভ এখন লকআপে।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা শুভঙ্কর দাসের কথা, “প্রায়ই অশান্তি হত ওদের। কালকেও নাকি দুপুরে পুলিশ এসেছে বলে শুনলাম। যদিও আমি দেখিনি। তারপর রাতে তো দেখলাম এই অবস্থা। আমরা জানি না ছেলেটা আসলে কী করত। কাউকে বলেছে ডাক্তার, কাউকে বলেছে সেক্টর ফাইভে চাকরি করত। কী যে করত সেটা একমাত্র ওই ছেলে আর ওই মেয়েই জানত। আমরা বাইরের লোকজন এটা জানতাম না। এক মাস হল এখানে আছেন। ওদের ঘরের ব্যাপার কী করে কী হল জানি না। তবে মেয়েটার মাসি যখন বলছে, মেয়েটা অন্তঃসত্ত্বা, ছেলেটা বলছে এটা ওর বাচ্চা নয়। এখানে দাঁড়িয়ে বলল। আমি একা না, সকলে শুনেছে।” সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত শুরু হয়েছে। নাগেরবাজার থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।