DA Protest: ডিএ না পেলে বাংলা অচল করে দেব, রাজভবনে যাওয়ার আগে হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথমঞ্চের

DA Protest: ডিএ'র দাবিতে বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ।

DA Protest: ডিএ না পেলে বাংলা অচল করে দেব, রাজভবনে যাওয়ার আগে হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথমঞ্চের
ডিএর দাবিতে ধরনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2023 | 6:31 PM

কলকাতা: এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন ডিএ’র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি। তাপস চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, দীপল বিশ্বাস ও সন্দীপ ঘোষ রাজভবনে যাবেন এদিন। নিজেদের বক্তব্য রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরবেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁরা ঘোষণা করেছেন, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবস পালিত হবে। কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার জানাবেন তাঁরা। একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২১ ফেব্রুয়ারি পর পর দু’দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতিও ডাক দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারি ও পেনশনপ্রাপকদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ’র ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য বাজেটে ছিল না। এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেন ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সামনে আন্দোলনে বসা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, বকেয়া না মেটালে ৩ শতাংশ ডিএ মূল্যহীন। একইসঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ৪৭২ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ ও লাগাতার অনশনের সপ্তম দিবসে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যরা জানিয়ে দেন, এবার রাজ্যপালের কাছে যাবেন তাঁরা।

সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “আমরা কর্মবিরতি যখন করি, তখন জরুরি পরিষেবাকে বাদ দিয়েই করি। সাধারণ মানুষের জরুরি পরিষেবা নিশ্চয়ই অব্যহত থাকবে। এমন কোনও কাণ্ড করা হবে না, যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। কিন্তু আমাদের এটা করতে হচ্ছে, কারণ সরকারের কাছ থেকে সদর্থক কোনও বার্তা আসছে না। এতদিন ধরে অবস্থান চলছে। অনশন চলছে। সরকার সব দেখছে। তারপরও সরকার যদি ন্যূনতম মানবিক না হয়, তার যদি দায়বদ্ধতা না থাকে আমাদেরও তো কিছু করতে হবে।”

একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সরকারকে সতর্ক করতে প্রথমে তাঁরা ২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। তারপরও কাজ হয়নি। এরপর একদিনের পূর্ণ কর্মবিরতি ডাকা হয়। তাতেও কাজ হয়নি। তাই এবার পরপর দু’দিন।

বিশ্বজিৎ মিত্রের কথায়, “আমাদের কর্মবিরতি সরকারের উপর যে চাপ ফেলেছে তা তো রাজ্য বাজেটে বুঝলাম। কিন্তু এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এই দয়ার দান আমরা নেব না। তাই ২০, ২১ তারিখ আমরা লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। তাতেও না কাজ হলে গোটা পশ্চিমবঙ্গকে আমরা অচল করে দিতে বাধ্য হব।”

এই কর্মবিরতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে আন্দোলনকারীদের প্রতি। ৩ শতাংশ ডিএ বঞ্চনা।” অন্যদিকে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “সরকারি কর্মচারিদের সরকার বলছে তোমাদের আমরা চানা দিলাম, তোমরা বেদানা মনে করে খাও।”