Smriti Irani: ‘দলের সদস্যদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য টাকাটা’, আবাসের বরাদ্দ নিয়ে খোঁচা স্মৃতি ইরানির
Awas Yojona: রাজ্যে আবাস যোজনার আওতায় ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তার মধ্যে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: গত কয়েকদিনে আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে নানা অভিযোগে বিদ্ধ বাংলা। জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় দল এসেছে। একাধিক গরমিলেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। এবার আবাস প্রকল্পের টাকা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কেন্দ্র এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। শনিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেশের জন্য ৬৬ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে। রাজ্য সরকার তা যেন সাধারণ মানুষের জন্যই খরচ করেন, নিজের দলের সদস্যদের জন্য যেন খরচ না করেন।” ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সূচনা করেন ভারত সরকার। লক্ষ্য একটাই, প্রত্যেক শ্রেণির মানুষেরই মাথার উপর যেন ছাদ থাকে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় কেন্দ্র।
গরীব মানুষকে ঘর দিতে দরাজ মোদী সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার কোটি টাকা। এরপরই বাংলায় এসে স্মৃতি ইরানির এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আবাস যোজনার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সার্ভে হয়েছিল ২০১৮ সালে। যাদের বাড়ি নেই, তাদের বাড়ির জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় এটা। পশ্চিমবাংলায় তো সেগুলো ভালভাবেই রূপায়িত হচ্ছে। এসব না জেনে কথা বলে লাভ নেই।”
শাসকদলের সদস্য না হলে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এ রাজ্যে। এমনও অভিযোগ, শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির একাধিক সদস্যর নাম থাকছে তালিকায়, অথচ বাদ গিয়েছেন যথার্থ বাড়ির দাবিদার যাঁরা। রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দলও।
রাজ্যে আবাস যোজনার আওতায় ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তার মধ্যে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবাস তালিকার ক্ষেত্রে এর আগে কেন্দ্র ৩১ ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছিল। পরে তা বাড়ানো হয়। অন্যদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রকে একটি চিঠি পাঠায় রাজ্য। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রের তরফে প্রয়োজনীয় অর্থ না দেওয়া হলে ৩১ মার্চের মধ্যে আবাস যোজনার কাজ শেষ করা যাবে না।





