Nabanna: ইসিএলকে জমি, বাজি কারখানা দেখতে কমিটি, মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত
Firhad Hakim: বাজি কারখানা নিয়ে যে কমিটি তৈরি হয়েছে। সেখানে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে অর্থদফতর, এমএসএমই, অগ্নিনির্বাপণ, হোম, পরিবেশ, রুরাল আর্বান ডিপার্টমেন্ট থাকবে। সকলে মিলে ২ মাসের মধ্য়ে একটা রিপোর্ট দেবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা: আবারও বাজি বিস্ফোরণ। ফের কমিটি গঠন। অবৈধ বাজি নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করা হল। পরিকল্পনা রয়েছে গ্রিন বাজির ক্লাস্টার তৈরিরও। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন হয়েছে সোমবার। দু’মাসের মধ্যে নবান্নকে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। অন্যদিকে কয়লা খাদান সম্প্রসারণের জন্য ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড বা ইসিএলকে জমি দিল রাজ্য। পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে ফ্রেট করিডর তৈরির জন্য পূর্ব রেলকেও জমি দিল রাজ্য। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলি হয়।
বাজিকাণ্ডের পর বিশেষ কমিটি
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর এদিন কমিটি তৈরির পাশাপাশি পরিকল্পনা রয়েছে গ্রিন বাজির ক্লাস্টার তৈরিরও। বাজি কারখানা নিয়ে রিপোর্ট দেবে নয়া কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ফাইনান্স, এমএসএমই, ফায়ার, হোম, এনভায়রনমেন্ট, রুরাল আর্বান ডিপার্টমেন্ট সকলে মিলে ২ মাসের মধ্য়ে একটা রিপোর্ট দেবে। এমএসএমই বিশেষ করে দেখবে বাজি কারখানায় কোনওভাবে ক্লাস্টার করা যায় কি না। সুরক্ষার জন্যই ক্লাস্টার করা হবে। প্রতিটা জেলা, যেখানে বাজি তৈরি হয়, সেইসব জেলায় লোকালয় থেকে দূরে ভেস্ট ল্যান্ডে নিরাপত্তা দেখে তা করা হবে।”
ইসিএলকে জমি
অন্যদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে বেরিয়ে মলয় ঘটক বলেন, “ইসিএল আছে কয়লা তোলার জন্য। ১ লক্ষ কর্মী ছিলেন। কয়লা খাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা কাজ হারিয়েছিলেন। বেআইনি খনন শুরু হয়েছিল। ইসিএল আবার কিছু কয়লা খাদান চালু করতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে জানায়। রাজ্য সরকারের তরফে থেকে কিছু জমি দেওয়া হল। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল।” মন্ত্রী জানান, এই কয়লা খাদানগুলি চালু হলে চাকরি বাড়বে। বেআইনি খননও বন্ধ হবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “ইসিএল যতগুলি সরকারি জমি চেয়েছিল, আজ সরকারিভাবে জমি দেওয়া হল। রেলকেও ফ্রেট করিডরের জন্য ২টো জমি দেওয়া হল।”