Dilip Ghosh: ‘সে যদি সকলের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে…’, তৃণমূলের কাদের নিশানা করলেন দিলীপ?
Dilip Ghosh: প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বলেন, "এই ছ্যাঁচড়া রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। যাকে-তাকে রাস্তায় নামিয়ে লেলিয়ে দেওয়া, এই ধরনের রাজনীতি বন্ধ করুন।" তিনি আরও বলেন, "কী কটূক্তি করেছি? কালকে তো ওই ওয়ার্ডে গিয়ে ধুয়ে দিয়ে এসেছি। প্রথম দিনই বলেছি বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটব। এখনও দিলীপ ঘোষের দম আছে।"

খড়গপুর: ‘বাড়ির সামনে ধুয়ে দিয়ে এসেছি…’, ‘মহিলাদের লেলিয়ে দিয়ে ছ্যাঁচড়া রাজনীতি করছে তৃণমূল…’, ‘তৃণমূল মহিলাদের দিয়ে পার্টি অফিসে পিঠে বানায়…।’ তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। তবে এ কিন্তু বিজেপি নেতার নতুন বুলি নয়। এর আগেও মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুকথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক নিয়েও মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন।
এবার কী বললেন দিলীপ?
প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বলেন, “এই ছ্যাঁচড়া রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। যাকে-তাকে রাস্তায় নামিয়ে লেলিয়ে দেওয়া, এই ধরনের রাজনীতি বন্ধ করুন।” তিনি আরও বলেন, “কী কটূক্তি করেছি? কালকে তো ওই ওয়ার্ডে গিয়ে ধুয়ে দিয়ে এসেছি। প্রথম দিনই বলেছি বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটব। এখনও দিলীপ ঘোষের দম আছে।” এখানেই কিন্তু শেষ নয়, বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “মহিলা কী পুরুষ… সে যদি রাস্তায় শুয়ে পড়ে। সকলের সামনে নাটক করেন। মহিলা বলছেন কেন?লিঙ্গ দেখে মহিলা? তৃণমূল মহিলাদের ব্যবহার করে। ওরা পিঠে বানানোর নাম করে পার্টি অফিসে রাতভর মহিলাদের নিয়ে ফূর্তি করে। এরা মহিলাদের কথা কোন মুখে বলে। এদের এক-একটা নেতার চরিত্র দেখুন কী করছে। বেলেল্লাপনা করতে পারে মহিলাদের নিয়ে। আমি আমার জায়গা থেকে সরছি না।”
কী নিয়ে এত বিতর্ক?
খড়গপুরের ছ’নম্বর ওয়ার্ডে ভবানীপুর এলাকায় একটি রাস্তার উদ্বোধনে যান বিজেপি নেতা। তাঁকে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন এলাকার মহিলারা। দিলীপের দাবি তাঁরা তৃণমূল কর্মী। ওই সকল মহিলাদের প্রশ্ন কেন বিধায়ক-সাংসদ না হওয়ার পরও কেন তিনি রাস্তার উদ্বোধন করছেন? এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে দিলীপ বলেন, “টাকা দিয়েছি। কারও বাপের টাকা নয়। ভিখারি পার্টি নয়। আমি টাকা দিয়ে বানিয়েছি।” বিতর্ক বাড়ে এর পর থেকেই।
এরপর এও বলতে শোনা যায়, “তৃণমূল যদি মনে করে এই রাজনীতি খড়গপুরে শুরু করবে তাহলে বাড়িতে ঢুকে মারব। নাহলে বাড়ি থেকে টেনে এনে চৌরাস্তায় মারব। আর যে বলছে কুকথা তাঁকে আমি শিখিয়ে দেব কোনটা কুকথা,আর কোনটা সুকথা।”
বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীরা
সাংসদ মালা রায় বলেন, “”মহিলাদের প্রতি এই ভাষা ব্যবহার অশালীন। এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। আসলে মহিলাদের যে সম্মান দিতে হয়, তা নিয়ে দিলীপবাবুর জ্ঞান কম আছে।” মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মহিলাদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ৫০০ টাকার জন্য নাকি ঘেউঘেউ করে এই সব বলেছেন। তার কথার পক্ষে সওয়াল করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপবাবুই বলছেন নিজের মেজাজে থাকব। মেয়েরাই উপযুক্ত জবাব দিয়ে দিয়েছে।”





