BJP: টক শোয়ে বসে রুদ্রনীল-সজল-অগ্নিমিত্রারা কী বলবেন তা ঠিক করতে বৈঠকে বিজেপি
BJP: টিভিতে কী কথা বলবেন, কী বলবেন না! কোন পথে হাঁটলে বেলাইন হবে না হিন্দুত্বের লাইন? ভোটের আগে তালিম বিজেপি নেতাদের। শনিবার সল্টলেকের দফতরে হয় এই বৈঠক।

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতির। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টার নিয়েও চলছে জোরদার চর্চা। পাল্টা পোস্টারে তোপ দেগেছে শাসকশিবিরও। কিন্তু, ভোটের আগে কী ভূমিকা হবে বিজেপির টেলিভিশন মুখেদের? তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পদ্ম শিবির। কে কী বলবেন, কী বলবেন না, আঙ্গিক কী হবে, কোন ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে আলাদা করে এদিন তা নিয়ে বৈঠকে বসলেন পদ্ম শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা। প্যানেলিস্টদের দেওয়া হল তালিম।
শনিবার সল্টলেকের দফতরে হয় এই বৈঠক। অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দরা বৈঠকে বসেছেন অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, দীপক বর্মন সহ এক ঝাঁক রাজ্য নেতাদের নিয়ে। সূত্রের খবর, ছাব্বিশের নির্বাচনে পার্টি লাইন সম্পর্কিত গাইডলাইন ব্যখ্যা করা হয় নেতাদের কাছে। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে নানা বিষয়ে মত বিনিময় চলে। কয়েকটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের ভূমিকা নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কোন ইস্যুতে কতটা আক্রমণাত্বক হতে হবে, তাও বলা হয়েছে বৈঠকে।
হিন্দুত্বের পক্ষে কতটা এগোনো উচিত, নরম হিন্দুত্ব, চরম হিন্দুত্ব নিয়ে একাধিক মত উঠে এসেছে। শুধু হিন্দু হিন্দু করতে গিয়ে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে থাকা অনেক ইস্যু অধরা থেকে যাচ্ছে না তো! প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক প্যানেলিস্ট। আবার একাংশ বলেছেন এই পথেই অনেক রাজ্যে সাফল্যে এসেছে। কোন পথে যাওয়া উচিত তার স্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন অনেকেই।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে যখন একটা ন্যারেটিভ তৈরি হয়েছিল। সেই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা চলে এল। ফলে রাজ্যব্যাপী আলোচনার পরিসরটা ফের বদলে যায়। এরকম পরিস্থিতি হলে কী বলতে হবে, কী করতে হবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকী কয়েকটি সংবাদমাধ্যম অফিসে এখনও সিপিআইএম পন্থীদের প্রভাব রয়েছে। সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকি তাঁরা প্রভাব খাটাচ্ছে খবরের ক্ষেত্রে। আবার এও দেখা যাচ্ছে একই সংস্থার টিভি চ্যানেল ও ডিজিটালে খবর পরিবেশনায় ফারাক থাকছে। এই মতও এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে বলে খবর।





